নারী কর্মীর সংখ্যার হিসাবে এগিয়ে বিদেশি ব্যাংক

ব্যাংকে নারী কর্মী
ব্যাংকে নারী কর্মী। ছবি: এমরান হোসেন/স্টার ফাইল ফটো

দেশের নয় বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা মোট কর্মীর ২৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এই নয় ব্যাংকে নারী কর্মী আছেন মোট এক হাজার সাত জন।

অন্যান্য বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা ২৩ হাজার ১৬২। এটি মোট কর্মীর ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর লিঙ্গ সমতা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। প্রতি ছয় মাস পর পর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় নারী কর্মীর সংখ্যা আট হাজার ২৪১ জন। এটি মোট কর্মীর ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশের ৬১ তফসিলি ব্যাংকে ৩৪ হাজার ৩৬৮ নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। এটি আগের ছয় মাসের তুলনায় তিন দশমিক শূন্য চার শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মোট নারী কর্মীর মধ্যে ৬৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে।

সার্বিক ব্যাংকিং খাতে নারীদের সংখ্যানুপাত ১৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনটিতে নারীদের কর্মপরিবেশে ইতিবাচক অগ্রগতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

ডে কেয়ার সেন্টারের সংখ্যা বেড়েছে। ভ্রমণ সুবিধা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সংখ্যা কমেছে।

ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই) এখনো লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে পিছিয়ে। তাদের কর্মীদের ১৭ শতাংশ নারী।

গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংক-বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানগুলোয় নারী কর্মী ছিলেন এক হাজার ১৩০ জন। এটি আগের ছয় মাসের তুলনায় ২৫ জন বেশি।

ব্যাংক-বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানগুলোয় ডে কেয়ার সেন্টারের সংখ্যা একই আছে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সংখ্যা ও অফিসের পর নারী কর্মীদের যাতায়াত সুবিধা কমেছে।

সার্বিকভাবে দেশের সব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ নারী।

বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বোর্ডে ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ সদস্য নারী।

অন্যদিকে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে কোনো নারী সদস্য নেই।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের মতে, শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ নির্ভর করে কাজের পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতির মতো বিষয়ের ওপর।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্যাংকিং খাত তুলনামূলক বেশি সংহত হওয়ায় অনেক নারী এখানে কাজ করছেন।'

ভালো কর্মপরিবেশ, সম্মানজনক বেতন, প্রযুক্তি গ্রহণ ও প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মনীতির মতো বিষয়গুলোর কারণে বিদেশি ব্যাংকে নারী কর্মীর সংখ্যা বেশি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও বেশি সংখ্যক নারী কর্মীর জন্য চাকরির সুযোগ তৈরিতে তিনি ব্যাংকগুলোকে আরও সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান যাতে আরও বেশি সংখ্যক যোগ্য নারী জ্যেষ্ঠতা পান ও বোর্ড সদস্য হতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English

What's causing the unrest among factory workers?

Kalpona Akter, labour rights activist and president of Bangladesh Garment and Industrial Workers Federation, talks to Monorom Polok of The Daily Star about the recent ready-made garments (RMG) workers’ unrest.

8h ago