১ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪২ শতাংশ

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক
গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের খেলাপি ছিল ৭৮ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ গত এক বছরে ৪২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৫ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। এটি ব্যাংকগুলোয় সুশাসনের অভাবকেই তুলে ধরছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো হলো—সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত বছরের মার্চ শেষে এই খেলাপির পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা।

গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের খেলাপি ছিল ৭৮ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা।

এটি এমন সময় বেড়েছে যখন সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ধরনের ঋণ কমানোর চেষ্টা করছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির নির্দেশনা অনুসারে, ২০২৬ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য এই লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ শতাংশ।

ব্যাংক কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের কথা বলে ঋণগ্রহীতাদের অনেকে ঋণ পরিশোধ করছেন না।

অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের বেশিরভাগই অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। সে কারণে এই ঋণ আদায় করা কঠিন হয়ে উঠছে।

ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি খেলাপি জনতা ব্যাংকের। এর পরিমাণ ৩০ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। এটি বিতরণ করা ঋণের ৩১ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২০ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। এটি বিতরণ করা ঋণের ২৮ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকই নয়, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও খেলাপি ঋণ বেড়েছে।'

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে জানা গেছে, গত ডিসেম্বর শেষে পুরো ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এটি বিতরণ করা টাকার নয় শতাংশ।

গত বছর পুরো ব্যাংকিং খাতে ঝামেলাপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা।

এর মধ্যে আছে খেলাপি, পুনঃতফসিলকৃত ঋণ, রাইট-অফ ঋণ ও আদালতের নির্দেশে নিয়মিত করা ঋণ।

Comments

The Daily Star  | English

UN says cross-border aid to Myanmar requires approval from both govts

The clarification followed Foreign Adviser Touhid Hossain's statement on Sunday that Bangladesh had agreed in principle to a UN proposal for a humanitarian corridor to Myanmar's Rakhine State

3h ago