অস্ট্রেলিয়ায় ‘হোম অফিসের’ দাবিতে আন্দোলন

মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া, হোম অফিস,
অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাফে। রয়টার্স ফাইল ফটো

মেলবোর্নে জরিপের কাজ করেন নিকোলাস কুম্বার। সকাল সাড়ে ৭টায় বাসা থেকে বের হোন অফিসের কাজে। কাজ শেষে সন্তানদের নিয়ে আসেন ডে কেয়ার থেকে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, 'যদি কর্তাব্যক্তিরা বলেন সবাইতো অফিসে আসছেন, তাহলে আমি বলবো বেতন বাড়াও।'

কুম্বার এখন সপ্তাহে ১ বা ২ দিন অফিসে যান। তিনি বলেন, 'পরিবারকে আরও বেশি সময় দেওয়া প্রয়োজন। বিকেল ৫টায় কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে পৌনে ৬টা বেজে যায়।'

যখন জেপি মরগান চেজ সিইও জেমি ডিমন থেকে টেসলা ও টুইটারের প্রধান ইলন মাস্ক মনে করছেন মহামারির সময়ে চালু হওয়া ঘরে বসে কাজের দিন শেষ হোক, তখন অস্ট্রেলিয়ার শ্রমজীবী মানুষ চাচ্ছেন এর বিপরীত। তারা ফেডারেল সরকারের কাছে হোম অফিসের দাবি তুলে ধরছেন।

সিডনি ইউনিভার্সিটির হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্ক রিসার্চ নেটওয়ার্ক বিভাগের প্রধান জন বুচানন বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজারে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।'

গত এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংক ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের ৫০০ সিনিয়র ম্যানেজারকে পুরো সময় অফিসে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়। এরপর গত মাসে ব্যাংকটি সেই ৫০০ কর্মকর্তাসহ সবার ঘরে বসে কাজের অধিকার মেনে নেয়।

সে সময় অস্ট্রেলিয়ার ১ লাখ ২০ হাজার সরকারি কর্মী অনির্দিষ্টকালের জন্য হোম অফিসের অনুরোধ করলে সরকার তা মেনে নেয়।

অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করা কমিউনিটি অ্যান্ড পাবলিক সেক্টর ইউনিয়নের সেক্রেটারি মেলিসা ডনেলি বলেন, 'বোতল থেকে জিন বের হয়ে গেছে। ঘরে বসে কাজের বিষয়টি এখন আর করোনা মহামারির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।'

Comments

The Daily Star  | English
CSA to be repealed

CSA to be repealed within a week: Nahid Islam

About the election, Nahid said an election based on national consensus will be held after completing all necessary reforms.

3h ago