কাজু বাদামের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাজু বাদামের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করার সময় এ প্রস্তাব করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে কাজু বাদাম উৎপাদিত হচ্ছে এবং উৎপাদিত কাজু বাদামকে প্রক্রিয়াজাত করতে কারখানা গড়ে উঠেছে।
এ কারণে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কাজু বাদাম আমদানিতে ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পণ্যটি সাফটা চুক্তির বিপরীতে আমদানির ক্ষেত্রে মাত্র তিন শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য হয়। ফলে সাফটাভুক্ত দেশ থেকে কম শুল্কে পণ্যটি আমদানি হওয়ায় দেশিয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ অবস্থায় এই শুল্কহারের অসমতা দূর করতে যেকোনো জায়গা থেকে কাজু বাদাম আমদানিতে পাঁচ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ১০ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি আরোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশ বছরে প্রায় আট লাখ টন কাজু বাদাম আমদানি করে।
আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য করছাড় সুবিধা পেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র।
এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এই বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম 'সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার'। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
Comments