পরীক্ষামূলকভাবে ভেনামি চিংড়ির পোনা উৎপাদনের অনুমতি

ভেনামি চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি, মৎস্য অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর,
ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

উচ্চ ফলনের আশায় ভিনদেশি জাতের চিংড়ি চাষে সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে ভেনামি চিংড়ির পোনা উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে, পরীক্ষামূলক পোনা উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এসপিএফ (স্পেসিফিক প্যাথোজেন ফ্রি) ভেনামি চিংড়ির ব্রুড আমদানিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মৎস্য অধিদপ্তারের অনুমতি নিতে হবে।

কয়েক মাস আগে 'হোয়াইটলেগ শ্রিম্প' বা 'সাদা পায়ের চিংড়ি' হিসেবে পরিচিত ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। কারণ, দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলের ৩টি খামারে পরীক্ষামূলকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষ করে বাগদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ফলন পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরীক্ষামূলকভাবে ভেনামি চিংড়ির পোনা উৎপাদনে আমদানি নির্ভরতা কমবে। পাশাপাশি স্থানীয় চাষিরা বেশি পরিমাণে ভেনামি চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করতে পারবেন।

মৎস্য অধিদপ্তরে নিবন্ধিত দেশ বাংলা এসপিএফ হ্যাচারির বায়োসিকিউরিটি ম্যানেজমেন্টের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে ভেনামি চিংড়ির পোনা উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মতে, ভেনামি চিংড়ির পোনা ও বাগদা চিংড়ির পোনা উৎপাদন একই হ্যাচারির পৃথক অংশে আবদ্ধ অবস্থায় বাস্তবায়ন করতে হবে, যেন কোনো দূষণ না হয়।

দেশের চিংড়ি খাতে রপ্তানি কমে যাওয়ায় রপ্তানিকারকরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে বিদেশি জাতের চিংড়ি চাষের অনুমতির আবেদন জানিয়ে আসছিলেন, তারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

শুরুতে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় বিদেশি জাতের চিংড়ি চাষের অনুমতি দিতে আগ্রহী ছিল না পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু, ২০১৯ সালে ভেনামি চিংড়ির পরীক্ষামূলক চাষের অনুমতি দেওয়া শুরু করে।

প্রাথমিকভাবে চিংড়ির প্রধান কৃষি অঞ্চল খুলনার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে ভেনামি চিংড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেসরকারি সংস্থা সুশীলনকে অনুমতি দেওয়া হয়। পরে, যশোরের এমইউ সিফুড এবং পাইকগাছার গ্রোটেক অ্যাকুয়াকালচারকে অনুমতি দেওয়া হয়। তৃতীয় পর্যায়ে, এটি আটটি সংস্থাকে ভেনামি চিংড়ির পরীক্ষামূলক চাষ ব্যবস্থাপনার অনুমতি দেয়। এর মধ্যে সশীলন, এমইউ সিফুড ও নিরিবিলি ফিশারিজ ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ভেনামি চিংড়ি চাষ করেছে এবং এসব খামারে হেক্টর প্রতি ফলন ৮ দশমিক ৩৩ টন থেকে ১২ দশমিক ৩৪ টন। স্থানীয়ভাবে চাষ করা বাগদা চিংড়ির হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় আধা টন।

Comments

The Daily Star  | English

Will protect investments of new entrepreneurs: Yunus

Yunus held a meeting with young entrepreneurs at the state guest house Jamuna where15 male and female entrepreneurs participated

4h ago