রুপিতে বাণিজ্য হলে প্রতি ডলারে অন্তত ১ টাকা সাশ্রয় হবে: ইবিএল সিইও

ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ইবিএল, আলী রেজা ইফতেখার, রুপি, ডলার, ভারত,
আলী রেজা ইফতেখার

ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রুপিতে বাণিজ্য হলে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ কমবে, শুধু তাই নয় প্রতি ডলারের বিনিময় খরচে অন্তত ১ টাকা সাশ্রয় হবে।

মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা ও রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ভারত ও বাংলাদেশ খুব শিগগির রুপিতে বাণিজ্য শুরু করবে। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন আলী রেজা ইফতেখার।

এক বছর আগে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৪১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, যা এ বছরের ৬ জুলাইয়ে দাঁড়ায় ২৯.৯৭ বিলিয়ন ডলারে। রিজার্ভ কমার অন্যতম কারণ রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের তুলনায় আমদানি বিল পরিশোধ বেড়েছে।

আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে ভারতীয় রুপির ব্যবহার আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক ও সাশ্রয়ী হবে।

গত দেড় বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়েছে, এই অবমূল্যায়ন এখনো অব্যাহত আছে। এই প্রেক্ষাপট ও কয়েকটি ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রুপিতে বাণিজ্যের সুবিধার্থে ইবিএল ও সোনালী ব্যাংককে ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) এবং আইসিআইসি ব্যাংকে 'নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট' খোলার অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ২ প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বার্ষিক প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য সহজতর করতে রুপিতে বাণিজ্যের অনুমতি দেয়।

ইফতেখার বলেন, ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।

দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে রুপির ব্যবহার আন্তঃসীমান্ত লেনদেনে সুবিধাজনক ও সাশ্রয়ী ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। এটি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখবে।'

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা স্থানীয় মুদ্রায় মার্কিন ডলার কিনে বাণিজ্যিক লেনদেন নিষ্পত্তি করেন। এজন্য বাংলাদেশি আমদানিকারকদের আমদানি বিল পরিশোধে টাকা দিয়ে ডলার কিনতে হয়। বিল পাওয়ার ভারতের রপ্তানিকারকদের মার্কিন ডলারকে রুপিতে কনভার্ট করতে হয়।

'রুপিতে বাণিজ্য হলে এসবের প্রয়োজন হবে না। তাই আমাদের রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকরা লেনদেনে লাভবান হবেন। আমি মনে করি, আমদানিকারকদের প্রতি ডলারে অন্তত ১ টাকা সাশ্রয় হবে,' বলেন তিনি।

ইফতেখার আরও বলেন, 'একইভাবে ভারতীয় ক্রেতারা যখন আমাদের কাছ থেকে কিনবেন, তারা টাকায় পেমেন্ট দেবেন।'

তিনি জানান, বাংলাদেশি টাকা ও ভারতীয় রুপির দর নির্ধারণে তারা মার্কিন ডলারের বিনিময় হারকে রেফারেন্স হিসেবে নেবেন।

'সুতরাং, আমরা মার্কিন ডলারের সঙ্গে এই মুদ্রাগুলোর বিনিময় হার ব্যবহার করব। তবে, আমরা ডলার ব্যবহার করব না। এটি আমাদের অর্থ সাশ্রয়ে সহায়তা করবে। এজন্য রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের কোনো ধরনের এক্সচেঞ্জ লস বা ফি দিতে হবে না,' বলেন তিনি।

ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্য শুরুর পর ভারতীয় রপ্তানিকারকরা মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপিতে চালান পাঠাবেন।

তিনি বলেন, 'আমরা তাদের ভারতীয় রুপিতে বিল পরিশোধ করব। তাই আমাদের ডলার কিনতে হবে না। এতে উপকার হবে।'

সংক্ষেপিত: পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Trade in rupee to save at least Tk 1 per dollar: EBL CEO

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

2h ago