৪২৫ আমদানি পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব এনবিআরের
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩৪ আমদানি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ও ১৯১ আমদানি পণ্যের নিয়ন্ত্রক শুল্ক (আরডি) প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরে এই প্রস্তাব সহায়তা করবে বলে মনে করছে এনবিআর।
এই আমদানি পণ্যগুলো মধ্যে রয়েছে— তেলাপিয়া, ক্যাটফিশ, কার্প, ঈল, আলাস্কা পোলাক, রেস ও স্কেট, সিবাসের মতো আমদানি করা মাছ, প্রাণীর মাংস ও চুল, খাদ্য সামগ্রী এবং টি-শার্ট, ফেবরিক, টাই, ট্রাউজার, স্যুট, জ্যাকেট, কৃত্রিম ফেবরিক, আন্ডারওয়্যারের মতো পোশাক আইটেম, রাসায়নিক ও প্রসাধনী।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হলে পরবর্তী ৩ অর্থবছরের বাজেটেও সরকার আমদানি পণ্যের ওপর থেকে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ ধরনের পণ্যের ওপর থেকে সম্পূরক শুল্প প্রত্যাহার করবে, যাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহজেই আমদানি-রপ্তানি করা যায়।
আমদানির ক্ষেত্রে প্রায় ৭ হাজার ধরনের পণ্যের ওপর শুল্ক রয়েছে, যার মধ্যে ১ হাজার ৯২৬টি পণ্যের ওপর সম্পূরক ও নিয়ন্ত্রক শুল্ক রয়েছে।
মূলত স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য নেই এবং বিলাসবহুল পণ্যের ওপর সম্পূরক ও নিয়ন্ত্রক শুল্ক আরোপ করা হয় এবং এই শুল্ক হঠাৎ করে প্রত্যাহার করা সম্ভব নয় বলে এনবিআরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা আরও বলছে, যেসব পণ্য কম আমদানি করা হয়, যেগুলো আমদানি করলে রাজস্ব কমার সম্ভাবনা কম এবং যেগুলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে, সে ধরনের পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করা উচিত।
অন্যথায়, বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হওয়া এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের বিধি-বিধান মেনে চলা কঠিন হবে বলে উল্লেখ করেছে এনবিআর কর্মকর্তারা।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তগুলোর মধ্যে একটি হলো, বাংলাদেশকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর-টু-জিডিপি অনুপাত দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দশমিক ৭ শতাংশ পয়েন্ট বাড়াতে হবে।
এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআরকে আগামী ৩ অর্থবছরে অতিরিক্ত ২ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করতে হবে।
Comments