মেট্রো রেলে ব্যবহৃত হয়েছে দেশের ১২ প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ সামগ্রী

মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনের একটি লিফট। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

দেশের প্রথম মেট্রো রেল নির্মাণের জন্য দেশের প্রায় এক ডজন প্রতিষ্ঠানের রড, স্টিল পণ্য এবং সিমেন্টের মতো উপকরণ। যা থেকে বোঝা যায় দেশে তৈরি এ পণ্যগুলো আন্তর্জাতিক মান অর্জন করছে।

৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের জন্য বিদেশি নির্মাণ সংস্থাগুলো আমদানি করা বিভিন্ন উপকরণের পাশাপাশি দেশে তৈরি রড, স্টিল পণ্য এবং সিমেন্ট ব্যবহার করে। 

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শীর্ষ গ্রেডের দেশীয় পণ্যগুলোর গুণগত মানের বিষয়ে সন্তুষ্ট হয়ে পরামর্শকরা সেগুলো ব্যবহারের সুপারিশ করেন।'

'দেশীয় পণ্য ব্যবহারের ফলে এ দেশের উৎপাদনকারীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। যেটা দেশের জন্য গর্বের বিষয়' বলেন এম এ এন সিদ্দিক।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির একজন কর্মকর্তা জানান, আংশিকভাবে সমাপ্ত প্রকল্পের জন্য এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১১ হাজার ৮৪০ টন হালকা ইস্পাত (এমএস) রড ব্যবহার করা হয়েছে।

দেশের অন্যতম প্রধান ইস্পাত প্রস্তুতকারক কোম্পানি বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) প্রায় ৭২ হাজার টন এমএস রড সরবরাহ করেছে। 

বিএসআরএম-এর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত এ বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা এ প্রকল্পের বেশিরভাগ রড সরবরাহ করেছে। যার অর্থ তাদের পণ্যের মাণ আন্তর্জাতিক মানের।

তিনি বলেন, জাপানি বিশেষজ্ঞরা অর্ডার দেওয়ার আগে বেশ কয়েক দফা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়াটিও তদারকি করেন।

জিপিএইচ ইস্পাতও প্রায় ৮ হাজার টন 'উচ্চ মানের' ইস্পাত সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে।

ম্যাকডোনাল্ড স্টিল বিল্ডিং প্রোডাক্টস মেট্রো রেলের ১৬টি স্টেশনের কাজের জন্য ১৪ হাজার টন স্টিলপণ্য সরবরাহ করেছে।

কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সারওয়ার কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয় নির্মাতারা যে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম, এটা তার উদাহরণ।'
 

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

4h ago