ডিএইচএল-ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস

লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেলেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী

এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটি বেশ অনুপ্রেরণামূলক।
এপেক্স, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস, ডিএইচএল,
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। ছবি: সংগৃহীত

এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটি বেশ অনুপ্রেরণামূলক। ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণকারী এলাহীর পরিবার মূলত সিভিল সার্ভিসে নিয়োজিত ছিল। তার বাবা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন, বড় ভাইও বাবার পথেই হেঁটেছিলেন।

তবে, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী সিভিল সার্ভিসে যোগ দিতে পারেননি। তিনি পাকিস্তান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।

৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে একজন ফরাসি নাগরিক মঞ্জুর এলাহীকে ব্যবসায়িক জগতে প্রবেশের প্রথম সুযোগ করে দিয়েছিলেন। প্যারিসে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ থেকে চামড়া সংগ্রহ এবং প্যারিস থেকে আমদানি করা চামড়ার রাসায়নিক ঢাকায় বিক্রির জন্য তাকে ওই ফরাসির এজেন্ট হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

যদিও চামড়া বিষয়ে তার কোনো ধারণা ছিল না, তবুও তিনি এই সুযোগটি হাত ছাড়া করতে চাইলেন না। তাই চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেন।

এরপর অনেক বছর ধরে ওই ফরাসির সঙ্গে কাজ করেন তিনি। পরে ১৯৭৫ সালে ১২ লাখ টাকায় ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে নেন এলাহী। তারপর চামড়া পণ্যের ছোট ব্যবসা দিয়ে যাত্রা শুরু, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিস্তৃত হয়ে আজকের এপেক্স হয়ে উঠেছে।

গুণগত মান, উদ্ভাবন ও ব্যবসায়িক নৈতিকতার প্রতি অবিচল দৃষ্টিভঙ্গি তার প্রতিষ্ঠানের প্রসার ঘটিয়েছে। কোম্পানিটি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রসারের পাশাপাশি জুতা শিল্পে বৈচিত্র্য এনেছে।

তিনি সবসময় বাজারের পরিবর্তন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রতি জোর দিয়েছিলেন। আর এটিই এপেক্সের টেকসই প্রতিযোগিতার মূল চাবিকাঠি। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও  পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগের মতো সামাজিক দায়বদ্ধতা এপেক্সকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে।

এলাহীর নেতৃত্ব গুণাবলী এপেক্সকে সফলতার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর ব্যবসায়িক সাফল্যের মূল মূল্যবোধ একাগ্রতা, সততা ও অধ্যবসায়।

Comments

The Daily Star  | English

Fire at Mutual Trust Bank in Dholaikhal

Four units are working to bring the fire under control

28m ago