ডিএইচএল-ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস

বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার হলেন এ কে এম মোশাররফ হোসেন

এ কে এম মোশাররফ হোসেন, ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস, ডিএইচএল, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ,
এ কে এম মোশাররফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ কে এম মোশাররফ হোসেন দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা এই ব্যবসায়ী এখন প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মক্ষেত্র সামলাচ্ছেন।

১৯৪২ সালে সিরাজগঞ্জের একটি নদী ভাঙন-প্রবণ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মোশাররফ হোসেন। স্কুলজীবন থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিকে গণিত ও জীববিজ্ঞান উভয় বিষয় পড়ালেখা করলেও ১৯৬৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন।

স্নাতক শেষে তার সহপাঠী আতিকুর রহমানের সঙ্গে যৌথভাবে ১৯৬৯ সালে কনস্ট্রাকশন ব্যবসা শুরু করেন। এরপর ১৯৭৬ সালে পোশাক ব্যবসায়ে প্রবেশ করেন। তখন এই ব্যবসায়ের প্রচুর রপ্তানি সম্ভাবনা ছিল এবং মার্কিন বাজারের জন্য ফর্মাল শার্ট তৈরিতে ঢাকায় একটি কারখানা ভাড়া নেন।

স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের এখন বর্তমানে ২০টি কারখানা আছে। তারা ইউরোপ ও মার্কিন বাজারের জন্য শার্ট, প্যান্ট, জ্যাকেট, সোয়েটার ও আনুষঙ্গিক গার্মেন্টস সামগ্রী তৈরি করে। যার বার্ষিক রপ্তানি মূল্য প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার।

স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ আসদা, গ্যাপ, ইউনিক্লো ও টমি হিলফিগারের মতো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের জন্য পোশাক উৎপাদন করে। তারা সরকার ও ক্রেতাদের নির্ধারিত কঠোর আইনি ও সুরক্ষা নীতি মেনে চলে।

স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যেমন- মশারি সরবরাহ, দক্ষতা প্রশিক্ষণ, আর্থিক সেবা, শিক্ষা ঋণ, চিকিৎসা ঋণ এবং তাদের কর্মচারীদের উষ্ণ পোশাক সরবরাহ করা।

তিনি শিক্ষা, ব্যাংকিং ও বীমা খাতেও বৈচিত্র্য এনেছেন, কারণ তিনি ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের একজন পরিচালক।

তার তিন ছেলে এবং তার বন্ধুর দুই মেয়ে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে আছেন, তারা তাদের পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্ম হিসেবে ব্যবসার দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

4h ago