সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে ‘হতাশাজনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের সাবেক অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশে যে মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে তার অর্ধেকই স্থানীয় মুদ্রা টাকার অবমূল্যায়নের কারণে হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশে, যা আগস্টের ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ থেকে সামান্য কম।
২০২১-২২ সালের শেষে ৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় জুনে তা ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়েছে। গত মের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়ে তা ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বিশ্লেষকরা একমত যে, দেশের বাইরে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ কেএনওএমএডির প্রতিবেদনের তুলনায় অনেক বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের ঊর্ধ্বমুখী দামের সমন্বয়ও মূল্যস্ফীতি বাড়াতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, চলতি জুনের প্রথম ২৫ দিনে প্রবাসীদের কাছ থেকে স্বজনরা ২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার পেয়েছেন। এটি গত বছরের একই মাসের প্রথম ২৩ দিনে পাওয়া ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৫৭...
বিদায়ী অর্থবছরের মতো ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও দেশের সাধারণ মানুষের ওপর উচ্চমূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা শেষ করা।’
সামির সাত্তার উল্লেখ করেন, দেশের কর ও জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর জন্য কর প্রশাসন এবং এর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় করা উচিত।
তিনি জানান, মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণ করা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়গুলোকে উন্নত করাই ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীকে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলার উদ্যোগ নিয়েই হাজির হতে হবে। কারণ, বিদায়ী অর্থবছরে গৃহীত ব্যবস্থা প্রত্যাশিত প্রতিকার এনে দিতে পারেনি।