জাপানে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন বাংলাদেশ দূতাবাসের

টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের রাজধানী টোকিওতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ দূতাবাস।

এদিন সকালে দূতাবাস ভবন প্রাঙ্গণে প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।  

এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পতাকা উত্তোলন শেষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

দ্বিতীয় পর্বে টোকিওর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে কূটনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

২৬ মার্চ মঙ্গলবার হোটেল নিউ ওতানিতে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুগে ইয়োশিফুমি।  
জাপানের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয় মন্ত্রী কোনো তারোসহ দেশটির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, চেম্বার প্রতিনিধি, টোকিওর বিভিন্ন মিশনের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আজ সমগ্র বিশ্বে স্বীকৃত।'

উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা রক্ষা ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মের তথ্য উপস্থাপন করেন।

তিনি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে পারস্পরিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও ঐতিহাসিক বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাপানের স্থানীয় পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, এ বছরের ২৬শে মার্চ রমজান মাসে পড়ায়, দূতাবাস স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ইফতার দিয়ে শুরু হয়।

[email protected]

Comments

The Daily Star  | English

BGMEA wants 3-month window from India to clear pending shipments

The association urges the interim government to send a letter to India seeking the opportunity

6h ago