মিশিগান মাতালেন কণা-ইমরান

ডাইভারসিটি ফেস্টিভাল বাংলা টাউন মেলায় ইমরান ও কণা। ছবি: সংগৃহীত

মেলা বা উৎসব হলেই মিশিগানের বাংলাদেশিদের মাঝে আনন্দের আর সীমা থাকে না। তারা যেন পান আবদ্ধ ঘরে এক চিলতে রোদ।

গত ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর মিশিগানে সামার সিজনের শেষ আয়োজনটি ছিল ২২তম ডাইভারসিটি ফেস্টিভাল বাংলা টাউন মেলা। তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন রোববারে দিলশাদ নাহার কণা ও ইমরান মাহমুদুলের আগমনে মেলা প্রাঙ্গণ ছিল লোকে লোকারণ্য।

মেলায় তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে কণা ও ইমরানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের ১০টি কনসার্টের পঞ্চম আয়োজন ছিল মিশিগানের বাংলা টাউনে।

সমাপনী দিনে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মিশিগান স্টেটের লুইটেনেন্ট গভর্নর গার্লিন গিলগিষ্ট, হ্যামট্রামিক সিটি মেয়র আমির গালিব ও কাউন্সিলর আবু মোসা, ওয়েন কাউন্টি কমিউনিটি কলেজ ট্রাস্টি কামাল রহমান ও এপিআইএ ভোট মিশিগানের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর রেবেকা ইসলামসহ অন্যান্য অতিথিরা।

এ দিন সন্ধ্যা নামার সঙ্গেই উপস্থাপক রেজুওয়ানা এলভিস যখন ঘোষণা করেন গায়িকা কণার নাম, তখন শুরু হয় দর্শকদের করতালি। কণা নিজের জনপ্রিয় বেশকিছু গান পরিবেশন করেন।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে মঞ্চে ওঠেন গায়ক ইমরান। একক গান শেষে কণা ও ইমরান কয়েকটি দ্বৈত গান পরিবেশন করেন। এ সময় তরুণ-তরুণীরা নেচে গেয়ে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ মাতিয়ে তোলেন।

আয়োজন বিষয়ে কণা বলেন, 'বিদেশে কাজের এত চাপের মধ্যে থাকার পরও এই মেলায় দর্শকদের যে উপস্থিতি, সত্যিই ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে বাংলাদেশের কোথাও গান করছি।'

তিনি জানান, আগামী ১ অক্টোবর নিউইয়র্কে আরও একটি কনসার্টে তার গান গাওয়ার কথা রয়েছে।

ইমরান মাহমুদুল বলেন, 'আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে যতগুলো কনসার্ট করেছি, মিশিগানের আয়োজনটি সবগুলোর মধ্যে সেরা। আশা করছি আমাদের বাকি শোগুলোও ভালো হবে।'

এই মেলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে গান পরিবেশন করেন শাহনাজ বেলি, মেহজাবিন নেহা, মমোসহ স্থানীয় ব্যান্ড দল টেন অ্যান্ড হাফ মাইল।

মেলায় ছিল চিরায়ত বাঙালি খাবার, গহনা, শিশুদের খেলার আয়োজন, এমনকি রেসলিং শো।

মেলায় আগত কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য দুটি বুথ। এপিআইএ ভোট মিশিগানের সৌজন্যে শিক্ষা উপকরণসহ ৫০০টি স্কুল ব্যাগ ও সদ্য ভোটার হওয়া নাগরিকদের জন্য লটারির মাধ্যমে ১টি আইফোন দেওয়া হয়। পাশাপাশি র‌্যাফেল ড্রতে পুরস্কার ছিল গাড়িসহ আরও নানা পুরস্কার।

আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে লেবার ডে সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে ২৩তম ফেস্টিভ্যাল।

লেখক: মিশিগানপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago