যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় বাংলাদেশি হাফেজ
যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের হাফেজ মুহান্নাদ বিন মুহাম্মদ। প্রাইজমানি হিসেবে তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার মার্কিন ডলার।
সম্প্রতি দেশটির মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় পুরো কোরআন হিফজ বিভাগে ছেলেদের মধ্যে তৃতীয় হন মুহান্নাদ।
গত রোববার মিনেসোটার এডিনা হাই স্কুল প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন মিনেসোটা ইসলামিক ইউনিভার্সিটির প্রধান শায়খ ড. ওয়ালিদ ইদরিস আল-মানিসি।
মিনেসোটাভিত্তিক কোরআন শিক্ষাকেন্দ্র তিবয়ান সেন্টার ফর কোরানিক সায়েন্স আয়োজিত ৩ দিন ব্যাপী ওই প্রতিযোগিতায় ৩০টি দেশ থেকে ৪২ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে মুহান্নাদ তার চাচা শায়খ কারি নুর মোহাম্মদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যান।
মুহান্নাদের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরে। তার বাবা শায়খ মুহাম্মদুল্লাহ কাতারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিবয়ান সেন্টারের ফেসবুক পেজ থেকে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতায় পুরো কোরআন হিফজ বিভাগে ছেলেদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন ফ্রান্সের উমর আফুফ। তিনি ১৫ হাজার ডলার পুরস্কার পেয়েছেন। দ্বিতীয় হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরওয়ার জামালুদ্দিন, ৭ হাজার ডলার পুরস্কার পেয়ছেন তিনি।
মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন কেনিয়ার মুনা ইদি ফারেহ। তিনি ১৫ হাজার ডলার পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়া ১০ কিরাতে কোরআন হিফজ বিভাগে একমাত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগী ঈদিন শাহারজাদ। তিনি পুরস্কার হিসেবে ২০ হাজার মার্কিন ডলার পেয়েছেন।
প্রতিযেগিতায় প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটির প্রধান ও ফিকাহ কাউন্সিলের সদস্য শায়খ ড. ওয়ালিদ ইদরিস আল-মানিসি। পাশাপাশি মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিরাত বিভাগের শিক্ষক ড. সালেম গারামুল্লাহ আল-জাহরানি, তায়েবা ইউনিভার্সিটির কোরআনিক স্টাডিজের শিক্ষক ও পবিত্র মসজিদে নববীর কারি ড. সুহাইল বিন মুহাম্মদ ইকবাল, কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ের তাফসির ও হাদিস বিভাগের শিক্ষক ড. মুহাম্মদ ফালাহ মিনডেকার, লেবাননের ত্রিপলির জিনান ইউনিভার্সিটি কিরাত বিভাগীয় প্রধান ড. জিয়াদ আল-হাজ, বৈরুতের মারকাজু খিদমাতিল কোরআনের পরিচালক ও শায়খুল কুররা শায়খ মাহমুদ আকাবি, নিউজার্সির ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের ইমাম ও খতিব শায়খ হাসান সালেহ এবং আল-ফিরদাউস সেন্টার ফর কোরআনের প্রধান শায়খ আবদুন সাসের ইউসুফ আলী বিচারক হিসেবে ছিলেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় তরুণ মুসলিমদের মধ্যে কোরআনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কাজ করছে তিবয়ান সেন্টার ফর কোরানিক সায়েন্স।
শায়খ কারি আবদুর নাসের ফারেহ প্রতিষ্ঠিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ২০২২ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ল্যানহামে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় ১৮টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেন।
লেখক: মিশিগানপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক
Comments