বাংলাদেশি কর্মী নিতে মালয়েশিয়ার সাবাহ রাজ্যের আগ্রহ

সাবাহ রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী পাংলিমা হাজি হাজিজি নূরের সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সরোয়ার। ছবি সংগৃহীত
সাবাহ রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী পাংলিমা হাজি হাজিজি নূরের সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সরোয়ার। ছবি সংগৃহীত

জিটুজি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে এবং  ২ দেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে মালয়েশিয়ার সাবাহ রাজ্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

১৯ জুন সাবাহ রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী ওয়াইবি দাতুক সেরি পাংলিমা হাজি হাজিজি নূরের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সরোয়ার  বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

সরকারের অনুমোদন নিয়ে খুব শীঘ্রই মানবসম্পদ নিয়োগসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে সাবাহ রাজ্য সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার।

এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার এই সমৃদ্ধ অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে আশা করছেন তিনি।

হাইকমিশনার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা তুলে ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, ব্যাবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ, বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, হালাল বাণিজ্য, উচ্চশিক্ষা, কৃষি, পর্যটনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এছাড়াও হাইকমিশনার সাবাহ ইকনোমি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্ট অথরিটি, চাইনিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজসহ একাধিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরেন।

তিনি সাবাহ রাজ্যের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহবান জানান এবং এক্ষেত্রে হাইকমিশন ও বাংলাদেশ সরকারের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

হাইকমিশনার গোলাম সরোয়ার সাবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও  মতবিনিময় করেন এবং আরো বাংলাদেশী গবেষক ও শিক্ষার্থী যাতে এখানে উচ্চ শিক্ষা বা গবেষণার জন্য সহজে আসতে পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চান তিনি।

 

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago