মালয়েশিয়ায় ছাপাখানায় দগ্ধ আরও ১ বাংলাদেশির মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪

১৫ জুন বৃহস্পতিবার ভোরে মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরে একটি ছাপাখানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মালয়েশিয়ায় ছাপাখানায় দগ্ধ আরও ১ বাংলাদেশির মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
মো. সাইফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় ছাপাখানায় আগুনের ঘটনায় আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জনে।

আজ রোববার মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সারডাং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মো. সাইফুল ইসলাম। তার বাড়ি যশোরে।

অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ মো. সাইফুল ইসলাম (৪২) সারডাং হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকে সাইফুলের শারীরিক পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। তার অবস্থা ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে। আজ ভোর ৫টার দিকে মালয়েশিয়ায় থাকা সাইফুলের আত্মীয় খালিদ হাসান রিপনের কাছে ফোনে সাইফুলের শারীরিক পরিস্থিতি জানানো হয়। রিপন সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে ছুটে যান। সেখান থেকে রিপন ফোনে জানান, সাইফুলের শারীরিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। অক্সিজেন নিচ্ছে না।

আজ সাড়ে ১০টায় হাসপাতাল থেকে ফোনে রিপন জানান, সাইফুল মারা গেছেন। সাইফুলের মৃত্যু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

১৫ জুন বৃহস্পতিবার ভোরে দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যের বান্ডারবারু বাঙ্গির তামান ইন্ডাস্ট্রি সোলেমানের জুমু এসডিএন বিএইচডি নামের একটি ছাপাখানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে মারা যান লিটন (৩৪) ও মোরাদ আলী মোল্লা (৩৮)। এ ছাড়া দগ্ধ ৪ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সারডাং হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

১৬ জুন শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় সারডাং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মনির উজ্জামান (৪২)।

 

নিহত লিটনের বাড়ি ঝিনাইদহে, মেরাদ আলীর বাড়ি পাবনায়, মনির উজ্জামানের বাড়ি যশোরে এবং মো. সাইফুল ইসলামের যশোরে।

বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাজা (২৯) এবং চিকিৎসা নিয়ে শনিবার বাসায় ফিরেছেন বাবলু রহমান (৪৪)। তাদের সবার বাড়ি যশোরে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Sea-level rise in Bangladesh: Faster than global average

Bangladesh is experiencing faster sea-level rise than the global average of 3.42mm a year, which will impact food production and livelihoods even more than previously thought, government studies have found.

1h ago