আন্তর্জাতিক ঢোল উৎসবে লাখো দর্শকের মন জয় করল বাংলাদেশ
পিরামিড আর নীল নদের দেশ মিশরে ১০তম আন্তর্জাতিক ঢোল ও লোকশিল্প উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে লাখো ভিনদেশি সঙ্গীত পিপাসু দর্শকের মন জয় করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি সাংস্কৃতিক দল।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মিশরের রাজধানী কায়রোতে বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যকার সাংস্কৃতিক চুক্তির আওতায় এই আয়োজন করা হয়।
মিশরের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে 'শান্তির জন্য ঢোল সংলাপ' শ্লোগান নিয়ে সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি সাংস্কৃতিক দল মুইয-ঈল স্ট্রিটের উত্তর কায়রো ওয়াল থিয়েটারে এই উৎসবের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে 'সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী' গানটি পরিবেশনের সময় দর্শক সারিতে বসা লাখো ভিনদেশি দর্শক উল্লাসে ফেটে পড়েন।
আরব-আফ্রিকার বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচার করেছে।
মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগ ও সার্বিক সহযোগিতায় উৎসবে অংশ নেয় মিশরে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মোট ৮টি বাদক দল ও কণ্ঠশিল্পী। বাংলাদেশ সংস্কৃতি দলের শিল্পীরা হলেন শিশির কুমার সরকার, ফারুক হোসেন, মো. ফেরদৌস, সোহেল, দেলোয়ার, প্রীতি সরকার, সানজিদা মুনা ও জান্নাত ইশা।
বাংলাদেশ, গ্রিস, মেক্সিকো, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ সুদান, আলজেরিয়া, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন ও স্বাগতিক মিশরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩০টিরও বেশি সাংস্কৃতিক দল অংশ নেয় এই উৎসবে।
মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম বলেন, 'আন্তর্জাতিক ঢোল উৎসবে উদ্যমের সঙ্গে এখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে যোগ দিয়েছি। সারা বিশ্বে সংঘাতের বিপরীতে সংলাপ, সহাবস্থান ও সহমর্মিতা প্রতিষ্ঠার জন্য এখানে শান্তির প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কায়রো ও ঢাকার বিনিময় ও সহযোগিতা গভীরতর হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ঢোল ও লোকশিল্প উৎসবটি ২ দেশের সংস্কৃতির অঙ্গনকে আরও উন্মুক্ত করবে।'
উৎসবের প্রধান পরিচালক ড. ইনতেসার আবদেল-ফাত্তাহ বিমোহিত দর্শকদের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে বাংলাদেশ দূতাবাসকে সাগ্রহে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ ছাড়া, তিনি অংশগ্রহণকারী অপেশাদার বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
Comments