মালয়েশিয়ায় জুয়া সিন্ডিকেটের বাংলাদেশি সদস্যসহ আটক ১৫

মালয়েশিয়ায় জুয়া সিন্ডিকেটের বাংলাদেশি সদস্যসহ আটক ১৫
কম্পিউটার, পাসপোর্ট এবং নগদ রিঙ্গিত জব্দ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অনলাইনে জুয়া সিন্ডিকেটের বাংলাদেশি সদস্যসহ ১৫ জনকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জনই বিদেশি নাগরিক।

স্থানীয় সময় ২৮ মার্চ মঙ্গলবার দেশটির সেলাংগর রাজ্যের ক্লাং ও রাজধানী কুয়ালালামপুরে আলাদা অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
 
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অনলাইনে জুয়া সিন্ডিকেটের অফিস বন্ধ করে দেয়।

এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, 'সিন্ডিকেটটি একটি স্নোকার পার্লারের গোপন কক্ষে জুয়া কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। ২৫ এবং ৪০ বছর বয়সী ২ ইন্দোনেশিয়ান নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা জুয়া খেলার যন্ত্রপাতি পরিচালনা করতেন এবং তাদের কোনো বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ছিল না।'
 
৪০ বছর বয়সী স্থানীয় এক ব্যক্তি জুয়ার তত্ত্বাবধায়ক বলেও জানান তিনি।

বৃস্পতিবার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামাকে জানিয়েছেন, গোপন কক্ষে প্রবেশের ক্ষেত্রে গ্রাহক সিন্ডিকেটের একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হতো।

এ ছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগ রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৃথক আরও কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ বাংলাদেশি, একজন নেপালি এবং একজন ইন্দোনেশিয়ান নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ৪০ বছর বয়সী একজন হোতা, যিনি স্থানীয় এক নারীর প্রবাসী স্বামী। একটি ক্লিনার কোম্পানির মালিকও তিনি। 

তাদের কাছ থেকে ৪৬টি কম্পিউটার, ৩৭টি পাসপোর্ট এবং নগদ ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৫০ রিঙ্গিত জব্দ করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, জব্দ করা নগদ অর্থের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে ধারণা করা হচ্ছে, এই সিন্ডিকেট প্রতি বছর ১ দশমিক ৩ থেকে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত আয় করতো।

জানা গেছে, আটক ব্যক্তিদের ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে এবং তাদের কাজে সহায়তা করায় স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। 

লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

'Bangladesh applauds 20% US tariff as ‘good news’ for apparel industry

Bangladesh has welcomed the outcome of trade negotiations with Washington, securing a 20 percent tariff rate on its exports to the US under a sweeping new executive order issued by President Donald Trump.

17m ago