শোক ও শ্রদ্ধায় মালয়েশিয়ায় ভাষা শহীদদের স্মরণ

কমিউনিটি নেতাদের নিয়ে শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার।। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মালয়েশিয়ায় শোক ও শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদের স্মরণ করেছেন বিদেশি কূটনীতিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

২১ ফেব্রুয়ারি সকালে কমিউনিটি নেতাদের নিয়ে কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার।

এ সময় শহীদদের আত্মার মাগফেরাতে বিশেষ দোয়া ও ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ইউনাইটেড চাইনিজ স্কুল কমিটি ও অ্যাসোসিয়েশন অফ মালয়েশিয়া (ডং জং) আয়োজিত ভার্চুয়াল কনফারেন্সে হাইকমিশনার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, 'এতে করে সংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা পায়, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। বহুভাষার প্রচার ও প্রসার হয়।'

ওইদিন বিকেলে আয়োজিত 'ইউনিটি ইন ডাইভার্সিটি' শিরোনামের ভার্চুয়াল কনফারেন্সে সেন্টার ফর জেনসাইড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল অফ লিবারাল আর্টস, টেইলরস ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া, মিনিস্ট্রি অফ টুরিস্ট অ্যান্ড আর্টস অ্যান্ড কালচার মালয়েশিয়া অংশ নেয়।

এই মাল্টি কালচারাল ইভেন্টে টেইলরস ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া, আর্জেন্টিনা, চীন, ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান, তাজাকিস্তান নাইজেরিয়ার হাইকমিশনাররা অনলাইনে যোগ দেন। 

'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি' গানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া ওয়েবিনারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ভিডিও বার্তায় জানান, 'ঐক্য এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক বিশ্বে শান্তি, সংহতি বজায় রাখে এবং দেশের উন্নতিতে কাজে আসে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সব মাতৃভাষা সংরক্ষণের দুয়ার উন্মোচন করেছে।'

আর্জেন্টিনা হাইকমিশনার ম্যানুয়াল বালাগুয়ের সিলাস ভিডিওবার্তায় এবারের কাতার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের কথা উল্লেখ করে বলেন,  'খেলাধুলার একটা নিজস্ব ভাষা আছে, যা সার্বজনীন ও সবার মাঝে ঐক্য তৈরি করে।'

অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদের পরিচালনায় 'বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের প্রচারে ভাষার ভূমিকা' বিষয়ক প্যানেল আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশের গবেষণা উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, মালয়েশিয়ার টেইলরস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আনাস জুবেদী এবং থাইল্যান্ডের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুরিচাই উন গাও।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাটক, যন্ত্রসংগীত এবং নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে নিজ নিজ ঐতিহ্য তুলে ধরেন বিভিন্ন দেশের প্রবাসী শিল্পীরা। 

লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

The elephant in the room no one is talking about

Reform of political parties is of urgent need

11h ago