নিউইয়র্কে শতকণ্ঠে বাংলা বর্ষবরণ ১৪-১৬ এপ্রিল

নিউইয়র্কে শতকণ্ঠে বাংলা বর্ষবরণের প্রথম মহড়া। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কের শতকণ্ঠে বাংলা বর্ষবরণের ঘোষণা দিয়েছেন দেড়শতাধিক বাংলাদেশি।

গতকাল শনিবার জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন মুহম্মদ ফজলুর রহমান।

তিনি জানান, ১৪ থেকে ১৬ এপ্রিল শতকণ্ঠে এবারের বর্ষবরণ হবে।

বর্ষবরণের ঘোষণার পর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা ও শতকন্ঠে বর্ষবরণের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়া পরিচালনা করেন সংগীতায়োজক মহীতোষ তালুকদার তাপস।

নিউইয়র্কে শতকন্ঠে বর্ষবরণ উদযাপন পর্ষদের প্রধান সম্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শামীম আল আমিন এবং নিউইয়র্কের সক্রিয় প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায় আয়োজনটি করছে এনআরবি ওয়ার্ল্ডওয়াইড।

১৪৩০ বঙ্গাব্দ বরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে সাংবাদিক মুহম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, 'নিউইয়র্কের শত আলোকিত মানুষের অংশগ্রহণে বর্ষবরণের প্রথম মহড়া দেখে আমি অভিভূত। পাপেট শো, যাত্রাপালা, পুঁথিগান, কবির লড়াই, বায়োস্কোপসহ হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির উপস্থাপনা থাকবে এই আয়োজনে।'

মহড়া ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিচালক মহীতোষ তালুকদার তাপস বলেন, 'প্রথম মহড়ায় নিউইয়র্কের সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রেমী মানুষ বাংলা বর্ষবরণের জন্য যে ভালোবাসা দেখিয়েছন তাতে আমরা প্রানিত হয়েছি। আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে আগ্রহ পাচ্ছে এই প্রজন্মের তরুণরা। তাদের অংশগ্রহণে এই আয়োজনটি অনন্য মাত্রায় পৌঁছাবে বলে আশা করছি।'

নিউইয়র্কে শতকণ্ঠে বাংলা বর্ষবরণের প্রথম মহড়ায় অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: সংগৃহীত

আয়োজক সংগঠন এনআরবি ওয়াল্ডওয়াইডের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন বলেন, 'এবারের বৈশাখ উদযাপনে নিউইয়র্কের মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি আশা করছি।'

মহড়ায় নিউইয়র্কের সক্রিয় প্রগতিশীল সংগঠনের মধ্যে উপস্থিত ছিল প্রকৃতি, বহ্নিশিখ সংগীত নিকেতন , চারুকন্ঠ, অনুপ দাস ডান্স একাডেমি (আড্ডা), শিল্পকলা একাডেমী ইউএসএ, বাংলাদেশি-আমেরিকান কালচারাল একাডেমি অ্যান্ড আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং প্রজন্ম ৭১।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago