অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে গুলিতে ২ পুলিশসহ নিহত ৬

অস্ট্রেলিয়ায় গুলিতে পুলিশ নিহত
নিহত পুলিশ কর্মকর্তা রাচেল ম্যাকক্রো ও ম্যাথিউ আরনল্ড। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের ব্রিসবেনের পশ্চিমে উইয়াম্বিলায় গুলিতে ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় পুলিশের গুলিতে ৩ সন্দেহভাজন নিহত হয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এই হত্যাকাণ্ড দেশটির জন্য 'মর্মান্তিক' বলে উল্লেখ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

এ ছাড়াও, বন্দুকধারীদের গুলিতে ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও অপর একজন নিহত হন।

পুলিশ কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারল বলেছেন, 'ভয়াবহ ঘটনাটি নিহতদের পরিবার ও সমগ্র বাহিনীর জন্য দুঃখজনক। নিহত ৩ জন হামলায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।'

গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে এক নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ নিতে গিয়ে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন কুইন্সল্যান্ডের ২ পুলিশ কর্মকর্তা।

এই ঘটনাটির পর কুইন্সল্যান্ড পুলিশের বিশেষ বাহিনী এলাকাটিতে অভিযান চালায়। আততায়ীদের সঙ্গে শুরু হয় বন্দুক যুদ্ধ। সেসময় অন্তত ৬ জন নিহত হন।

পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে ব্রিসবেনের পশ্চিমে উইয়াম্বিলায় ২ সশস্ত্র কর্মকর্তা ও প্রতিবেশী অ্যালান ডেয়ারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশের গুলিতে নিহত ৪৬ বছর বয়সী নাথানিয়েল ট্রেনকে নিখোঁজ ব্যক্তি হিসেবে খুঁজছিল পুলিশ। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ট্রেনকে শনাক্ত করতে গত সপ্তাহে আবেদন করে। তাদের অনুরোধেই কুইন্সল্যান্ড পুলিশ ওই বাড়িতে গেলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। এতে ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও আরও একজন নিহত হন।

গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যে জানা যায়, দুর্বৃত্তরা 'সামরিক কায়দায়' হামলা করে পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেয়।

অপরাধীরা সামরিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল কিনা তা পুলিশ কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারল নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে বলেছেন, অপরাধীদের হাতে আধুনিক অস্ত্র ছিল।

এ ঘটনার পর সেখানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পুলিশের তদন্ত অব্যাহত আছে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia returns home from London

Khaleda Zia, accompanied by her two daughters-in-law Zubaida Rahman and Syeda Sharmila Rahman, is now on way to her Gulshan residence

2h ago