আমিরাতে বাংলাদেশ বই মেলা শুরু
প্রবাসে পাঠক আগ্রহ সৃষ্টি ও মানসম্পন্ন লেখক তৈরির লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩ দিনব্যাপী 'বাংলাদেশ বইমেলা ও বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসব' শুরু হয়েছে।
দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ বইমেলায় ৭৩টি স্টল রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছে ৩০টি প্রকাশনা সংস্থা।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেন কবি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।
আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, 'বইকে বলা হয় মনের হাসপাতাল। বাংলা ভাষার মহাসমুদ্রের শত বছরের কল্লোল যদি আমরা শুনতে চাই, তাহলে বইয়ের কাছে যেতে হবে৷ বই আমাদের কঠিন সময়েও বাঁচতে শেখায়, মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়৷'
তিনি বলেন, 'দূর প্রবাসে থেকে বাংলা ভাষার চর্চার জন্য বই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব রাখে বই৷ বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য জানার জন্য প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের হাতে বই তুলে দিতে হবে৷'
প্রধান অতিথি মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, 'আমাদের সন্তানদের হাতে বই তুলে দিলে তাদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা কাজ করবে। বই পড়ার মাধ্যমে তাদের শব্দভাণ্ডার আরও উন্নত হবে।'
তিনি বলেন, 'অনলাইনের যুগে ভুল ইতিহাস প্রচার হচ্ছে৷ ভুল ইতিহাস বুঝতে হলে বই পড়ে সঠিক ইতিহাস জানতেই হবে।'
রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর বলেন, 'সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলা সংস্কৃতি বিকাশের একটি সুযোগ রয়েছে। সেটি সম্ভব বাংলা বই পড়ার অভ্যাসের মাধ্যমে।'
বইমেলার উদ্যোক্তা দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, '১৯৭২ সালে মাত্র ৩২টি বই দিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছিল একুশে বইমেলা। প্রথমদিকে পাঠকদের তেমন আগ্রহও দেখা যায়নি। একটা সময় তা আন্তর্জাতিক বইমেলায় পরিণত হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'আমিরাতে চালু হওয়া আজকের এই বাংলাদেশ বইমেলা ও বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসব নিয়ে তেমন প্রত্যাশা আমাদেরও।'
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, আমিরাত, ভারত ও ব্রিটেনের প্রখ্যাত কবি-সাহিত্যিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দিনে মেলায় ৩ জন প্রবাসীসহ ৫ লেখকের নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়।
লেখক: আমিরাতপ্রবাসী সাংবাদিক
Comments