ইতালিতে নারী পুলিশ ধর্ষণে গ্রেপ্তার বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে
ইতালির নাপোলিতে নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তার রুবেল মাতবরের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলায়। বৈধতা হারিয়ে তিনি ইতালিতে অনিয়মিত হিসেবে অবস্থান করছিলেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস ও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বলেন, 'নাপোলিতে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেল ফিয়োরেল্লা ব্রেয়িয়ার কাছ থেকে আমরা প্রথমে ঘটনাটি জানতে পারি।'
তিনি বলেন, 'আমরা ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি। উপযুক্ত বলে বিবেচিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটা বাংলাদেশ ও কমিউনিটি জন্য খুবই দুঃখজনক ঘটনা এবং কলঙ্কজনক।'
প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চার-পাঁচ বছর আগে লিবিয়া হয়ে ইতালি আসেন রুবেল মাতবর। পরে ইতালির বৈধ কাগজপত্রও পান। কিন্তু নানা অনৈতিক কাজের জন্য থানা পুলিশ তার কাগজপত্র জব্দ করে।
তিনি ইতালির কালাব্রিয়া শহরে থাকার সময় দাঙ্গা-হামাঙ্গাসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ কাগজপত্র জব্দ করার পর তিনি নাপোলিতে চলে আসেন।
বৃহস্পতিবার রাতে নাপোলি বন্দরের পিসাকানে গেটের ভেতরে পার্কিং লটের কাছে রুবেল মাতবর ইতালীয় নারী পুলিশ সদস্যের মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার জন্য নেপলস পুলিশ রুবেল মাতবরকে গ্রেপ্তার করে।
রুবেল অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে পুলিশ।
দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন যে কোনো কার্যকলাপের বিষয়ে সেখানকার বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সচেতন থাকার ও প্রতিরোধের আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান।
এমন ঘটনা ভবিষ্যত কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
এজাজ মাহমুদ: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
Comments