মালদ্বীপে সংবর্ধনা পেলেন সাফজয়ী অধিনায়ক সাবিনা
এবার মালদ্বীপে সংবর্ধনা পেলেন সাফজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন । মালদ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মালদ্বীপের নারী ফুটসাল লিগে ধিবেহি সিফাইং ক্লাবের হয়ে খেলছেন সাবিনা খাতুন। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো মালদ্বীপের এই নারী ফুটবল লিগে খেলছেন তিনি।
বুধবার হুলহুমালেতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের হলরুমে আনন্দঘন পরিবেশে সাবিনা খাতুনকে অভ্যর্থনা জানান মালদ্বীপে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াল অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। সেখানে অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাপানি ফুটবলার মাতসুসিমা সুমাইয়া এবং মালদ্বীপ ক্রিকেট দলের বাংলাদেশি কোচ ফাতেমা তুজ জোহরা।
অনুষ্ঠানে সাবিনা এবং এই ২ নারী খেলোয়াড়কে নিয়ে কেক কাটেন মিশন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইকমিশনারের স্ত্রী নাওমী নাহরিন, প্রথম সচিব সোহেল পারভেজ ও তার স্ত্রী রোমানা রাজিয়া সিদ্দিকী, দ্বিতীয় সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া এবং মিশনের সদস্য ও প্রবাসী বাংলাদেশি সংগঠকরা।
হাইকমিশনার এস এম আবুল কালাম আজাদ নারী ফুটবলারদের সাফ জয়ের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সাবিনা খাতুন ও তার দলকে মালদ্বীপ মিশন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সাবিনা বলেন, 'আমাদের অর্জনে দেশের মানুষ যে পরিমান আনন্দ পেয়েছে, মানুষের যে ভালোবাসা আমরা পেয়েছি, তাতে আমাদের আর পিছনে ফেরার সুযোগ নেই। এখন আমাদের লক্ষ্য আরও বড়।'
সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর দেশের ফেরেন বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। এরপর টানা তারা বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সংবর্ধনায় সিক্ত হন। ৩০ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপ পাড়ি দেন সাবিনা খাতুন।
আগের মতো এই মৌসুমেও বাংলাদেশের গোলমেশিন সাবিনার পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হচ্ছেন মালদ্বীপের ফুটবলপ্রেমীরা। গত বৃহস্পতিবার সাবিনার ধিবেহি সিফাইং ক্লাব ২৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে এমওয়াইএস ক্লাবকে। ম্যাচে সাবিনা একাই করেন ১১ গোল। মাতসুসিমা সুমাইয়া করেন ৬ গোল।
সাবিনা মালদ্বীপ প্রথম খেলেন ২০১৫ সালে, ডিফেন্স ফোর্স ক্লাবের হয়ে।
মালদ্বীপ ছাড়াও সাবিনা খাতুন খেলেছেন ভারতের ঘরোয়া ফুটবলে। ২০১৮ সালে সেথু এফসিতে খেলে সাত ম্যাচে ৬ গোল করেছিলেন বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক।
Comments