মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় মেলায় বাংলাদেশ
মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় মেলায় প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। 'সেলাঙ্গর ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো' নামের এ মেলায় খাদ্যপণ্য ও পানীয় ছাড়াও ঐতিহ্যবাহী খাবারও পরিবেশন করবে বাংলাদেশসহ অংশ নেওয়া বিশ্বের ১১টি দেশ।
দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত বিশ্বের ব্র্যান্ড এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনের অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী বাজার অন্বেষণে শিল্প উদ্যোক্তা ও অর্থনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ, জ্ঞান বিনিময়, ব্যবসায়িক সমঝোতা, উদ্ভাবনী সমাধানে ব্যবসাকে শক্তিশালী করতে প্রতি বছর এ বাণিজ্য সম্মেলন ও মেলার আয়োজন করা হয়।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের কনভেনশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে ৪ দিনের ৮ম সেলাঙ্গর ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো।
মেলার উদ্বোধন করবেন সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্রাউন প্রিন্স টুংকু আমির শাহ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সেলাঙ্গর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইবি দাতো শ্রী আমিরুদিন বিন শারি।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় মেলায় অংশ নিচ্ছে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি খাদ্য ও পানীয় প্রতিষ্ঠান।
'বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে' ব্যাচেলর পয়েন্ট, পিঠা ঘর এবং আলো ছায়া নামের রেস্তোরাঁয় ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার প্রদর্শন করা হবে।
পাশাপাশি প্রাণ ও মুন্নু সিরামিকস তাদের বিশ্বমানের পণ্য প্রদর্শন করবে।
এ ছাড়াও মেলায় ডেমোনেস্ট্রেশন ও মাস্টার ক্লাসে অংশ নেবেন মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কুলিনারি (রন্ধনশিল্প) বিষয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে মেলা দেখতে পারবেন।
মেলায় 'বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন' ঘুরে দেখার জন্য মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ আন্তর্জাতিক মেলার শুরু থেকে সংশ্লিষ্ট আছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুন। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন দেশের বন্ধুরা বাংলাদেশি খাবার খেয়ে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন এমন একটি আন্তর্জাতিক আয়োজনে নিজ দেশের খাবার উপস্থাপন করতে। এবার বাংলাদেশের হয়ে সে সুযোগ পাচ্ছি।'
'এ মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবার সম্পর্কে শুধু মালয়েশিয়ান নয় বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও জানতে ও স্বাদ নিতে পারবেন,' যোগ করেন তিনি।
লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী সাংবাদিক
Comments