মিয়ানমারের রাখাইনে জাতীয় শোক দিবস পালন

রাখাইন
রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিট্যুয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলটে প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করছেন মিশন প্রধান জাকির আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিট্যুয়েতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট।

গত সোমবার এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে অর্ধনমিত জাতীয় পতাকার সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এ সময় মিশন প্রধান জাকির আহমেদ কনস্যুলেটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, জাতিসংঘের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আইনজীবী, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা, রাখাইন স্টেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি অংশ নেন।

মিশন প্রধান জাকির আহমেদ কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে মিশনের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।

রাখাইন
রাখাইনে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মিশন প্রধান জাকির আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী নেতৃত্ব ও অবিস্মরণীয় কর্মকাণ্ডের উপর নির্মিত 'চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

শোক দিবসের এ অনুষ্ঠানে ভারতীয় কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিবেকানন্দ ভট্টামিশ্র ও জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর রিকার্ডো মায়া বক্তব্য রাখেন।

জাকির আহমেদ তার বক্তব্যে ৭৫ সালের এই দিনটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচাইতে জঘন্যতম ও কলঙ্কজনক দিন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন "সোনার বাংলা" প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ ও স্বপ্নকে ঘাতকরা কখনই হত্যা করতে পারেনি।'

অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সুখ সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করা হয়।

Comments