এথেন্সে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু স্মরণ

গ্রিসে শোক দিবস
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গ্রিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ দূতাবাস গ্রিসে বিনম্র শ্রদ্ধা ও স্মরণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানী এথেন্সে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দিবসের কর্মসূচির শুরুতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গ্রিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ। সেসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস, গ্রিস আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টের সব শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতির পিতার জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ও 'মুজিব আমার পিতা' দেখানো হয়।

দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) বিশ্বজিৎ কুমার পালের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ প্রবন্ধ পাঠ করেন কাউন্সেলর মো. খালেদ।

প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি থেকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সভাপতি হাজী আব্দুল কুদ্দুস, সাবেক সভাপতি গোলাম মওলা, সাধারণ সম্পাদক খালেক মাতুব্বর, গ্রিস আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিয়া মিজান, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান উদ্দিন ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মৌসুমি পারভিন।

জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টের সব শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই নন, স্বাধীনতা লাভের পর ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি রচনা করে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায়ে তার বিজ্ঞ রাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি তাকে বিশ্বের দরবারে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতার মর্যাদায় আসীন করেছে।'

তিনি বঙ্গবন্ধু আদর্শ ধারণ করে সরকারের চলমান কূটনৈতিক সাফল্যের ধারা অব্যাহত ও দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি বজায় রাখতে একযোগে কাজ করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।

কমিউনিটি নেতারা জাতির পিতার ঐতিহাসিক অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। তারা জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আলোচনার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মিলাদ মাহফিল, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

লেখক: গ্রিসপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh exports to EU

RMG exports to EU rise by 2.99% in Jan-Nov

In the 11 months, Bangladesh shipped garments worth $18.15 billion, second highest after China

1h ago