কুড়িগ্রামে সরকারি হাসপাতালের ইনজেকশন পাচারের অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সরকার বরাদ্দকৃত ইনজেকশন পাচারের অভিযোগে সাহেদা বেগম (৩৬) নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। সাহেদা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের টাপুরচর গ্রামের ফজল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, দুপুরে ওই নারী ট্রাভেল ব্যাগে ৩৭০ অ্যাম্পুল পেলটকস-২ ও পেনটিড মেগাপিল ইনজেকশন নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হন। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাগ তল্লাশি করে ইনজেকশনগুলো দেখতে পায়। পরে তারা ওই নারীকে হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ বক্সে সোপর্দ করে।
সাহেদা বেগম পুলিশকে জানান, চিকিৎসা নিতে তিনি হাসপাতালে এসেছিলেন। সে সময় একজন আয়া তাকে ব্যাগটি নিয়ে হাসপাতালের বাইরে যেতে বলেন। সাহেদা আরও জানান, তিনি ওই আয়ার নাম জানেন না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সরকারি ওষুধ চুরি ও পাচারে হাসপাতালে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। হাসপাতালে অনেকেই এই চক্রে রয়েছে। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গরিব মানুষ ওষুধ পায় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের স্টোর কিপার মমিনুল ইসলাম বলেন, 'এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারবো না।'
যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হাসাপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. পুলক কুমার সরকার বাদী হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। হাসপাতালের যারা যারা ওষুধ চুরি ও পাচারের সঙ্গে জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাঁন মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, ইতোমধ্যে ওই নারীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি পুলিশকে কিছু তথ্য দিয়েছেন এবং সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে রিমান্ড চেয়ে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Comments