২ সপ্তাহে সংক্রমণ ১.৭৩ থেকে বেড়ে ১১.০৩ শতাংশ হয়েছে

দেশে প্রতিদিনই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে করোনার সংক্রমণ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। চলতি সপ্তাহে (১৫ জুন—২১ জুন) শনাক্তের হার রয়েছে ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। এটি গত সপ্তাহে (৮ জুন—১৪ জুন) ছিল ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সংক্রমণ বেড়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং গত ২ সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণ ১.৭৩ শতাংশ থেকে বেড়ে সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ হয়। 
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

দেশে প্রতিদিনই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে করোনার সংক্রমণ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। চলতি সপ্তাহে (১৫ জুন—২১ জুন) শনাক্তের হার রয়েছে ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। এটি গত সপ্তাহে (৮ জুন—১৪ জুন) ছিল ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সংক্রমণ বেড়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং গত ২ সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণ ১.৭৩ শতাংশ থেকে বেড়ে সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ হয়। 

এর আগে সোমবার ৪ মাস ৩ দিন পর শনাক্তের হার ১০ শতাংশ পেরিয়েছে। সোমবার শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ২৪২ নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৬৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ।

এর আগের সপ্তাহে অর্থাৎ ৮ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৫৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এ ছাড়া, গত ১৪ দিনে ৮৫ হাজার ৭৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ হাজার ৩২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে ২ সপ্তাহের শনাক্ত হার ৫ দশমিক ০৩ শতাংশ।

চলতি বছরের ৬ জুন সর্বশেষ শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল। ৬ জুন শনাক্ত হার ছিল ০ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং ৭ জুন থেকে শনাক্তের হার ১ শতাংশ অতিক্রম করে। এরপর থেকেই ক্রমাগত শনাক্ত ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

গতকাল মঙ্গলবার শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং শনাক্ত হয়েছেন ৮৭৪ জন। একইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ৭ জুন শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর আগে চলতি বছরের ১ এপ্রিল করোনা শনাক্তের হার ১ শতাংশের বেশি ছিল। ১ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ০৯ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৮ জুন শনাক্তের হার আরও বেড়ে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ তথা ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। কিন্তু, ৯ জুন শনাক্তের হার কমে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ হয় এবং ৫৯ জন শনাক্ত হন।

এরপর ১০ জুন শনাক্তের হার আবারও বেড়ে হয় ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ১১ জুন শনাক্তের হার আবার কমে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ হয় এবং ৭১ জন শনাক্ত হন।

তবে, ১২ জুন শনাক্তের সংখ্যা ১০৯ জন হয় এবং ৩ মাস পর শনাক্তের হার হয় ২ দশমিক ০৬ শতাংশ। এর গত ৮ মার্চ শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ২৩ শতাংশ।

গত ১৩ জুন শনাক্তের হার কিছুটা কমে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ হলেও ১৪ জুন তা আবার বেড়ে ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ হয়। ১৩ জুন ১২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং ১৪ জুন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৬২ জন।

১৫ জুন শনাক্তের হার বেড়ে ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৩২ জন। ১৬ জুন শনাক্তের হার আরও বেড়ে ৫ শতাংশ অতিক্রম করে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয় এবং শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ৩৫৭ জন।

১৫ জুনের আগে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

এর পরদিন ১৬ জুন শনাক্তের হার বেড়ে হয় ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং ৪৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তবে, ১৮ জুন শনাক্তের হার কমে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয় এবং শনাক্তের সংখ্যা কমে হয় ৩০৪ জন।

কিন্তু, ১৯ জুন আবারও শনাক্তের হার বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ৫৯৬ জন।

২০ জুন ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে দাঁড়ায় এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ৮৭৩ জন। একইসঙ্গে একজনের মৃত্যু হয়। ১৯ জুনের আগে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ।

করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ১৯ জুন সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আবারও সংক্রমণ বাড়াচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবাইকে মাস্ক করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের সতর্ক হতে হবে, অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এখনো সময় আছে, আমরা যাতে মাস্ক পরি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি। যারা টিকা নেননি তারা জরুরিভিত্তিতে বুস্টার ডোজ নিন। সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো এখন একটু সীমাবদ্ধ করতে হবে। সরকারকে বলব এ ধরনের নির্দেশনা দিতে, আমরাও দেব।'

তিনি জানান, বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক হতে বলা হয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তারা কী ধরনের ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছে তা নিয়ে গবেষণা হয়েছে।

তার মতে, এটা ওমিক্রনই, হয়তো এর সাবভ্যারিয়েন্ট হতে পারে। খুব মারাত্মক কিছু না, তবে দ্রুত সংক্রমণ ঘটায়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago