ভোটার আছে, নেই স্বাস্থ্যবিধি
উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভোটারের উপস্থিতি। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
আজ রোববার সকাল ৮টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩টি অঞ্চলের (শহর, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ) ১৯২টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটকেন্দ্রগুলো ঘুরে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক এবং আলোকচিত্রীরা দেখতে পান, প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি রয়েছে। তবে অনুপস্থিতি রয়েছে করোনার স্বাস্থ্যবিধি।
ভোটারদের মধ্যে অনেকেই মাস্ক না পরেই ভোট দিতে কেন্দ্রের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও তারা সঠিকভাবে না পরে থুতনি বা গলায় ঝুলিয়ে রেখেছেন।
নারী এবং পুরুষ উভয় লাইনেই দেখা গেছে দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না। সবাই গা-ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছেন।
এ বিষয়ে সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, 'সকাল থেকেই ভোটারদের প্রচণ্ড ভিড়। ভোট কার্যক্রম পরিচালনাতেই চাপের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী কর্মকর্তারা। এর মধ্যে মাস্কের বিষয়ে নজর দেওয়ার মতো সময় কোথায়।'
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, 'ভোটগ্রহণের দিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা কঠিন। তবে প্রত্যেকের সঠিকভাবে মাস্ক পরা উচিত ছিল। তাহলে সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি কিছুটা কম হতো।'
গতকাল শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ২৪ হাজার ২৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৪৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এ ছাড়া, একই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ জনের।
গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় নারায়ণগঞ্জে ২৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
Comments