সাহিত্যের জহুরি সাগরময় ঘোষ

সাগরময় ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সাহিত্য পত্রিকায় তিন জন সম্পাদকের তুলনা পাওয়া কঠিন। তারা হলেন সওগাতের সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, কবিতা পত্রিকার সম্পাদক বুদ্ধদেব বসু এবং দেশ পত্রিকার সম্পাদক সাগরময় ঘোষ।

তাদের মধ্যে প্রথম দুজন নিজ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা হলেও সাগরময় ঘোষ তা নন। অথচ দেশ পত্রিকার কথা বললেই প্রথমেই চোখে ভাসে একজনের নাম তিনি সাগরময় ঘোষ। দেশ পত্রিকার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন তিনি। দেশ পত্রিকাকে যিনি সাহিত্যমহলে কেবল প্রতিষ্ঠিতই করেননি দিয়েছেন এক অনন্য মেজাজ। সাগরময় ঘোষ সম্পাদক হয়েছেন বেশ পরে। দেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার। তারপর বঙ্কিমচন্দ্র সেন। অনেকটা দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়েই সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন সাগরময় ঘোষ।

দেশ পত্রিকায় সাগরময় ঘোষ যোগ দেন ১৯৪০ সালে। তখন রবীন্দ্রনাথ জীবিত। দেশ পত্রিকায় যোগ দেওয়ার পর সাগরময় ঘোষের দায়িত্ব ছিল রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে গল্প ও কবিতা সংগ্রহ করা। অবশ্য সে বছরই রবীন্দ্রনাথ চলে গেলেন। রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি কবিতা সংগ্রহ করতে পারলেও পেরেছিলেন একটি গল্প সংগ্রহ করতে। গল্পের নাম 'শেষ কথা'।

শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সাগরময় ঘোষ, সঙ্গে ক্ষিতিমোহন সেনসহ অন্যরা। ছবি: সংগহীত

যে সাগরময় ঘোষের কারণে দেশ পত্রিকার আজ সাহিত্যপত্রিকায় জগৎজোড়া খ্যাতি সেই সাগরময় ঘোষের দেশ পত্রিকার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পেছনে ছিল একটি ঘটনা। স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদানের অপরাধে জেলে যেতে হয়েছিল সাগরময় ঘোষকে। তার আগে তিনি কাজ করতেন ওষুধ কোম্পানি বেঙ্গল ইমিউনিটিতে। জেলেই তিনি সঙ্গী হিসেবে পেলেন আনন্দবাজার গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রফুল্লকুমার সরকারের ছেলে অশোককুমার সরকারকে। স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদানের জন্য অশোককুমার সরকারকেও জেলে যেতে হয়েছিল। জেলে বিপ্লবীদের মধ্যে দারুণ আড্ডার মেজাজ ছিল। অশোককুমার সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠল সাগরময় ঘোষের। দারুণ গানের গলা ছিল সাগরময়ের। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর একদিন অশোককুমার সরকারই ডেকে পাঠালেন তাকে। মেছুয়াবাজারের বর্মণ স্ট্রিটে দেশ পত্রিকার কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর অশোককুমার সরকার জুড়ে দিলেন কাজের প্রস্তাব। অশোককুমার সরকারদের তখন দুটি পত্রিকা। একটি 'আনন্দবাজার' অন্যটি সাহিত্য পত্রিকা 'দেশ'।

এক অনুষ্ঠানে সুকুমার সেন, সত্যজিৎ রায়, সন্তোষকুমার ঘোষ ও অন্যান্যদের সঙ্গে সাগরময় ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

অশোক কুমার সাগরময় ঘোষকে তিনটি কাজের যে কোনো একটি বেছে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনটির মধ্যে সাগরময় ঘোষ বেছে নিলেন দেশ পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ। দেশ পত্রিকার সম্পাদক তখন সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার। তিনিই ছিলেন দেশের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। সংবাদপত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও সহকারী সম্পাদক হিসেবে দেশ পত্রিকায় যোগ দিলেন সাগরময় ঘোষ। এরপর তো যা করেছেন তা ইতিহাস।

সাগরময় ঘোষ কতটা ক্ষুরধার সম্পাদক ছিলেন তার প্রেক্ষিতে বলা যায় ১৯৯৯ সালে তার মৃত্যুর পর বিখ্যাত ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ান পত্রিকার শিরোনাম। তার মৃত্যুর সংবাদের শিরোনামে তাকে বলা হয়েছিল 'Bengal's literary tiger'।

সাগরময় ঘোষ 'দেশ' পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন ১৯৭৬ সালে। সম্পাদক হিসেবে বহাল ছিলেন ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। আর মৃত্যুপূর্বের বাকি আড়াই বছর ছিলেন সাম্মানিক সম্পাদক। দেশ পত্রিকার মধ্য দিয়ে কত সাহিত্যিককে যে তিনি তুলে এনেছেন! অজস্র তরুণ সাহিত্যিককে দেশ পত্রিকার মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিয়েছেন। সেই সাগরময় ঘোষ সম্পাদকের টেবিলে যাওয়ার পর নিজের সাহিত্য বা নিজের লেখার বিষয়ে হয়ে গেলেন খামখেয়ালী। অথচ তিনি একসময় হতে চেয়েছিলেন সাহিত্যিক। চাইলে সঙ্গীতে জড়িয়ে যাওয়ারও যথেষ্ট সুযোগ তার সামনে ছিল।
সাগরময় ঘোষ জন্মেছিলেন ১৯১২ সালের ২২ জুন পূর্ববঙ্গ অধুনা বাংলাদেশের চাঁদপুরের হাইমচরের বাজাপ্তি গ্রামে। বাবা কালীমোহন ঘোষ ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। শান্তিনিকেতনের শ্রীনিকেতন গড়ে উঠেছিল কালীমোহন ঘোষের হাতেই।

সাগরময়ের যখন জন্ম কালীমোহন ঘোষ তখন বিলেতে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য ও শিশুদের পাঠ্যক্রম নিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বলাবাহুল্য তার বিলেত যাত্রার পেছনের কারিগর রবীন্দ্রনাথই। সাগরময়ের জন্মের এক বছর পরে কালীমোহন ঘোষ দেশে ফিরে দায়িত্ব নিয়েছিলেন শান্তিনিকেতন আশ্রমের শিশুবিভাগের। পরবর্তীতে নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় চাঁদপুরের সেই পৈত্রিক ভিটেতে আর কখনো যাওয়া হয়নি সাগরময়ের।

সাগরময় ঘোষের নামটি দেয়া রবীন্দ্রনাথের। তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা শান্তিদেব ঘোষ তো রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে এতো নৈকট্যের কারণে স্বভাবতই সাগরময়ের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার সূচনা হয়েছিল শান্তিনিকেতনে। রবীন্দ্রনাথকে পেয়েছিলেন সরাসরি শিক্ষক হিসেবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সাগরময়ের জীবনে পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব ছিল ভীষণভাবে লক্ষ্যণীয়। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক থাকায় দেশ পত্রিকায় যোগ দেওয়ার পরে সাগরময় ঘোষের ওপরেই দায়িত্ব পড়েছিল রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে গল্প এবং কবিতা জোগাড় করা।

সাগরময় ঘোষের ওপর রবীন্দ্রপ্রভাব কতখানি ছিল তা পাওয়া যায় সাগরময় ঘোষের লেখা আত্মজীবনীতে। লিখেছিলেন, 'আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে এই পৃথিবীতে জন্মে তুমি কী পেলে? আমার উত্তর রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথ আর রবীন্দ্রনাথ।'

দেশ পত্রিকায় যোগ দেয়ার পর সাগরময় ঘোষ হয়ে উঠলেন পাকা জহুরি। দেশ পত্রিকায় তখন লিখছেন রবীন্দ্রনাথ, তারাশঙ্কর, বুদ্ধদেব বসু, সৈয়দ মুজতবা আলী, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নামকরা সব সাহিত্যিকেরা।

এত এত বিখ্যাত সাহিত্যিকের মধ্যে বছর সাতেক বয়সের 'দেশ' পত্রিকা ছিল অনেকটাই ঋদ্ধ। কিন্তু সাগরময় ঘোষ দেশ পত্রিকায় এসে দেশ পত্রিকাকে প্রকৃতঅর্থেই গড়ে তুললেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ মুখপত্র হিসেবে। দেশ পত্রিকাকে ঘিরেই তিনি গড়ে তুললেন সাহিত্যের এক অপার সম্ভার। তরুণ সাহিত্যিকদের সুযোগ দিতেন অকাতরে। তিনি যখন দেশ পত্রিকার সম্পাদক তখন তরুণ সাহিত্যিকদের উদ্দেশ্যে বলতেন, 'আমি তো কেবল স্টেজের মালিক। শুধু স্টেজ ভাড়া দিই। নাচবে তুমি। ভুগলে ভুগবে তুমি।' পক্ষান্তরে দেশ পত্রিকাকে তিনি পরিণত করলেন নবীন-প্রবীণ সাহিত্যিকের মিলনমেলায়। 

সাগরময় ঘোষের হাত ধরে বিখ্যাত সাহিত্যিকেরা উঠে এসেছেন। মণিশংকর মুখোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, শরৎ মুখোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, সমরেশ বসু, সমরেশ মজুমদার, জয় গোস্বামীর নাম তো উঠে আসবেই প্রথমেই। 

রমাপদ চৌধুরী বিমল মিত্র, মন্মথনাথ সান্যাল, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সুবোধ ঘোষসহ অন্যদের সঙ্গে সাগরময় ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

সম্পাদক হিসেবে সাগরময় ঘোষ কতটা উদ্যমী ছিলেন তা আজ অবিশ্বাস্য শোনাবে। একবার দেশ পত্রিকা থেকে শারদীয় সংখ্যা বেরোবে। সাগরময় ঘোষ সুবোধ ঘোষকে তাড়া দিলেন লেখা পাঠানোর জন্য। সুবোধ ঘোষের সাফ জবাব তিনি এবার লিখবেন না। সাগরময় ঘোষ নাছোড়বান্দা। তিনি লেখা আদায় করেই ছাড়বেন। এদিকে শারদীয় সংখ্যা প্রকাশের দিনও ঘনিয়ে আসছে। সাগরময় ঘোষ ছাপাখানায় বলে দিলেন সবাইকে প্রস্তুত থাকতে। যে কোনো সময় লেখা আসতে পারে। সাগরময় ঘোষের ক্রমাগত তাড়া আর উৎপীড়নে সুবোধ ঘোষ রীতিমতো বাধ্য হলেন তিনি লিখবেন। ঠিক হয়েছিল রাতজেগে লিখবেন সুবোধ ঘোষ। শেষরাতে সুবোধ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে তার লেখা সংগ্রহ করেই সাগরময় ঘোষ প্রেসে যাবেন। ঠিক রাত আড়াইটায় সুবোধ ঘোষের বাড়ি পৌঁছালেন সাগরময়। গিয়ে দেখেন সুবোধ ঘোষ ঘুমাচ্ছেন। ঘুম থেকে ডেকে তুলতেই সুবোধ ঘোষ অপারগ হয়ে বললেন, এবার আর আমার দ্বারা সম্ভব হবে না দাদা।' এদিকে সাগরময় ঘোষের তখন অকূলপাথারে পড়ার দশা। ভোরবেলা তীব্র হতাশ আর ক্লান্ত বদনে তিনি ফিরে গেলেন দেশ পত্রিকার অফিসে। উদ্দেশ্য সুবোধ ঘোষের লেখার বদলে অন্য কোনো লেখা নিয়ে সংখ্যা পূর্ণ করতে হবে।

বলে রাখা ভালো সেবার ঠিকই সুবোধ ঘোষের উপন্যাস বেরিয়ে ছিল দেশ পত্রিকার শারদীয় সংখ্যায়। কীভাবে? সাগরময় ঘোষ চলে যাওয়ার পর মতি ফিরেছিল সুবোধ ঘোষের। সাগরময় ঘোষ চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তিনি দেশ পত্রিকার অফিসে পৌঁছে বসে গেলেন লিখতে। দুপুর পর্যন্ত একটানা লিখলেন সেবারে শারদীয় সংখ্যায় ছাপা হওয়া তার বড় গল্পটি।

কেবল সুবোধ ঘোষই নন। এমন কতো কতো সাহিত্যিকের লেখার পিছনে যে সাগরময় ঘোষের নাম জড়িয়ে আছে। মণিশংকরের বিখ্যাত উপন্যাস 'এপার বাংলা ওপার বাংলা' লেখার ক্ষেত্রে সাগরময় ঘোষের প্রভাব ছিল লক্ষ্যণীয়। প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন মণিশংকর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর ভোর পাঁচ টার দিকে শংকরকে বিমানবন্দর থেকে আনতে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী ও মা। অন্যদিকে সেই ভোররাত্রিতেই তীব্র শীত উপেক্ষা করে নবীন এক লেখককে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির সাগরময় ঘোষও। সাগরময় ঘোষ তখন সম্পাদক হিসেবে ভীষণ প্রভাবশালী। অথচ সেই তীব্র শীতের রাতে সাগরময় ঘোষের বিমানবন্দরে যাওয়ার উদ্দেশ্য কেবল স্বাগত জানানোই নয়। বরং তরুণ লেখক মণিশংকরের কাছ থেকে যদি কোনো লেখা পাওয়া যায়।

সাগরময় ঘোষকে দেখে চমকে উঠে শংকর বলেই ফেললেন 'আপনি এখানে!'

জবাবে সাগরময় ঘোষ কেবল বলেছিলেন, 'তোমাকে ধরব বলেই এসেছিলাম। যদি কিছু মাথায় আসে, মনে রেখ।' 

সেই আবদার মাথায় রেখেই শংকর লিখেছিলেন বিখ্যাত উপন্যাস 'এপার বাংলা ওপার বাংলা'।
একসময় দারুণ গল্প লিখতেন সাগরময় ঘোষ। কিন্তু সম্পাদনার সঙ্গে তার যাত্রার পর গল্প লেখাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেন সাগরময় ঘোষ। খুঁজে খুঁজে পরখ করতেন আর পড়তেন পত্রিকা আর সাগর সেঁচে বাছাই করতেন মুক্তা। সাগরময় ঘোষের গদ্য যে কতটা অনন্য তা পাওয়া যায় তার লেখা 'সম্পাদকের বৈঠকে' ও 'একটি পেরেকের কাহিনী' গ্রন্থে। নবীন প্রবীণ অসংখ্য লেখকের সঙ্গে তার আত্মস্মৃতি আর নানা ঘটনার নির্ঝর স্বাদু গদ্যে উঠে এসেছে এই গ্রন্থে।

শেষ বয়সে সাগরময় ঘোষ।

বলে রাখা ভালো দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত কোনো লেখাই সাগরময় ঘোষের পড়া ছাড়া ছাপা হতো না। কোনো লেখকের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা লুকায়িত থাকলে তাকে অকাতরে সুযোগ দিতেন। এত প্রভাবশালী সম্পাদক হওয়ার পরও লেখকের স্বাধীনতার বিষয়ে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করতেন না সাগরময় ঘোষ। প্রয়োজনে দিতেন পরামর্শ। কিন্তু কখনোই লেখককে না জানিয়ে সাগরময় ঘোষ লেখা সংযোজন বা বিয়োজন করতেন না। 

ব্যক্তিগত জীবনে কিছুটা গম্ভীর হলেও ভীষণ সময়নিষ্ঠ এবং স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন সাগরময় ঘোষ। কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সাগরময় ঘোষের পঁচাত্তরতম জন্মবার্ষিকীতে লিখেছিলেন,

'সাগরদাদা আপনি বুড়ো হলেন না বিলকুল,

 পঁচাত্তরেও তরতাজা মন, ভ্রমরকৃষ্ণ চুল'

বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম সম্পাদক সাগরময় ঘোষের ১১০তম জন্মদিন আজ। তার প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

 

সূত্র-  

সম্পাদকের বৈঠকে/ সাগরময় ঘোষ

একা একা একাশি/ শংকর

অর্ধেক জীবন/ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

Comments

The Daily Star  | English
tailor injured during July mass uprising fights for dignity

Is respect too much to ask for?

Rasel Alam, 36, a tailor from Mohammadpur, has been fighting two battles since the July mass uprising -- one for his health and another for his dignity.

18h ago