‘বাঙালির সংস্কৃতি ও পরিচয়কে সার্বজনীন করেছেন আবুল মনসুর আহমদ’
আবুল মনসুর আহমদ তার সৃজনশীল লেখনীর মাধ্যমে বাঙালির সংস্কৃতি ও পরিচয়কে সার্বজনীন করেছেন। সম্প্রদায়গত চিন্তা মানুষকে সাম্প্রদায়িক করে না তার বড় প্রমাণ আবুল মনসুর আহমদ।
ময়মনসিংহের মুসলিম ইনস্টিটিউট হল রুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সঞ্জীবন যুব সংস্থার অর্ধযুগ পূর্তিতে 'আবুল মনসুর আহমদের জীবনী ও সাহিত্য সমাজে প্রাসঙ্গিকতা' শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তারা বলন, শৈশব থেকেই নিজ এলাকায় আবুল মনসুর আহমেদ সচেতন ও প্রতিবাদী বালক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে প্রচলিত ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতেন এবং তার এই প্রতিবাদী মানসিকতা পরবর্তী জীবনে তাকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে গড়ে তোলে।
বক্তারা বলেন, আবুল মনসুর আহমেদ সততা, নীতি ও আদর্শের সংমিশ্রণে একজন প্রগতিশীল মানুষ ছিলেন। সাহিত্য ও রাজনীতিতে তার সৃজনশীলতার জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বিশেষ করে তার লেখায় স্থানীয় শব্দের নিপুণ ব্যবহার, যুক্তফ্রন্টের ২১-দফা ইশতেহার প্রণয়ন, ফুড কনফারেন্সসহ তার ছোট গল্প এবং 'আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর' তাকে বিশেষ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, আবুল মনসুর আহমদ তার লেখার মাধ্যমে সামাজিক কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামির ও শোষণ ও রাজনৈতিক ভণ্ডামির বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি সবসময় সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটি আমাদের ব্যর্থতা যে আমরা আবুল মনসুর আহমদকে শিক্ষার্থীদের কাছে যথাযথভাবে নিয়ে যেতে পারিনি।
তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, জাতিকে এগিয়ে নিতে আবুল মনসুর আহমদের মতো অধ্যবসায়ী, সাহসী ও সৎ হতে হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো চেঙ্গীস খান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- কাজী নাসির মামুন, ইমরান মাহফুজ, মো জাহাঙ্গীর আলম, মো রুকুন উদ্দিন, অহনা নাসরিন এবং আবুল মনসুর আহমদের পরিবারের সদস্য- আমিরুল হক সুজা, রায়হান ফরাজী ও আনোয়ারুল মোর্শেদ ফুয়াদ।
Comments