আজ প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাইয়ের জন্মদিন
আজ প্রখ্যাত সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক ও সংগঠক রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের ৯৭তম জন্মদিন। তিনি ১৯২৫ সালের ৯ এপ্রিল রাজবাড়ী জেলার পাংশায় প্রখ্যাত সাহিত্যিক রওশন আলী চৌধুরী ও এয়াকুব আলী চৌধুরীর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তারা ছিলেন দাদাভাইয়ের নানা। তার পৈত্রিক বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার ভবানীপুর গ্রামে।
রোকনুজ্জামান খান ১৯৪৮ সালে আবুল মনসুর আহমদ সম্পাদিত ইত্তেহাদ পত্রিকার 'মিতালী মজলিস' নামে শিশু বিভাগের দায়িত্বের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শিশু সওগাত পত্রিকায় । ১৯৫২ সালে দৈনিক মিল্লাতের 'কিশোর দুনিয়া'র শিশু বিভাগের পরিচালক ছিলেন। ১৯৫৫ সালে তিনি ইত্তেফাক পত্রিকায় যোগ দেন এবং 'দাদাভাই' ছদ্মনামে শিশুদের পাতা 'কচি-কাঁচার আসর' সম্পাদনা শুরু করেন।
আমৃত্যু তিনি এই দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এ থেকেই 'দাদাভাই' নামে দেশব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠেন। তার স্ত্রী বাংলাদেশের নারী ব্যক্তিত্ব 'বেগম' সম্পাদক নূরজাহান বেগম। তার শ্বশুর সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ছিলেন প্রখ্যাতজন।
সম্পাদনার পাশাপাশি রোকনুজ্জামান নিজেও অনেক কবিতা ছড়া লিখেছেন এবং শিশুদের চিন্তার উন্মেষ ও প্রতিভা বিকাশে নিরলসন ভূমিকা রেখেছেন। তার জনপ্রিয় ছড়া-
"বাক বাক্ কুম পায়রা, মাথায় দিয়ে টায়রা
বউ সাজবে কাল কি, চড়বে সোনার পালকি"
হাট্টিমাটিম টিম, খোকন খোকন ডাক পাড়ি, আজব হলেও গুজব নয় প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। তার সম্পাদিত ঝিকিমিকি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিশুসংকলন ৷ এসব রচনার মাধ্যমে শিশুদের মনে নীতিজ্ঞান, দেশপ্রেম ও চারিত্রিক গুণাবলি জাগ্রত করার চেষ্টা করেন ৷ এছাড়াও সম্পাদনা করেছেন- আমার প্রথম লেখা, বার্ষিক কচি ও কাঁচা, ছোটদের আবৃত্তি ইত্যাদি।
প্রতিষ্ঠা করেন 'কচি-কাঁচার মেলা' নামে জাতীয় শিশু সংগঠন । সৃজনশীল ও সাংগঠনিক কর্মের জন্য বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, একুশে পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ১৯৯৭ সালের ৩ ডিসেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন।
Comments