খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা: এ জে এম আমিনুল হক,বীর উত্তম
(মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরে দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা নিয়ে বিশেষ আয়োজন 'মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত যোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা'। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাধারণত আমরা ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের বীরত্ব সম্পর্কে জানি। কিছুটা আড়ালে ঢাকা পড়ে যান আমাদের বাকি খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা। দ্য ডেইলি স্টার উদ্যোগ নিয়েছে সেই জানা ও অজানা মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা নিয়মিত প্রকাশ করার। ক্রমানুসারে বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা নিয়েই চলছে ধারাবাহিক এই আয়োজন। পর্যায়ক্রমে বীর বিক্রম, বীর প্রতীক মিলিয়ে সর্বমোট ৬৭২ জন মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বগাঁথা প্রকাশ করবে দ্য ডেইলি স্টার। আমাদের আজকের পর্বে রইল এ জে এম আমিনুল হক, বীর উত্তম'র বীরত্বগাঁথা)
মুক্তিযুদ্ধে এ জে এম আমিনুল হক ছিলেন অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। তার সনদ নম্বর ১৩।
এ জে এম আমিনুল হক চাকরি করতেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে। ১৯৭১ সালে ফিল্ড ইন্টেলিজেন্সের অধীনে তিনি কর্মরত ছিলেন ঢাকা সেনানিবাসে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ঢাকা থেকে পালিয়ে যুদ্ধে যোগ দেন। পরে তাকে নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নকশী বিওপির যুদ্ধ এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এ জে এম আমিনুল হকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছিল এই যুদ্ধ।
অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক ছিলেন মেজর এ জে এম আমিনুল হক ও সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন ক্যাপ্টেন আমীন আহম্মেদ চৌধুরী। ৩১ জুলাই মেজর আমিনুল হক ও ক্যাপ্টেন আমীন আহম্মেদ চৌধুরী জেড ফোর্সের কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে নকশী বিওপিতে আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। মূল আক্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্যাপ্টেন আমীনকে। ঠিক হয় ৩ আগস্ট ব্যাটালিয়নের ব্রাভো ও ডেল্টা কোম্পানি এই অপারেশনে অংশ নেবে। নকশী বিওপির অবস্থানে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩১ বেলুচ রেজিমেন্টের একটি প্লাটুন। তাদের সঙ্গে ছিল ২ প্লাটুন আধা সামরিক ও রাজাকার। ৩১ জুলাই থেকে ২ আগস্ট ৩ দফা নকশী বিওপি রেকি করেন আমীন আহম্মেদ চৌধুরী ও সুবেদার হাকিম।
রেকির প্রথম দিন ক্যাপ্টেন আমীন ও সুবেদার হাকিম উঁচু টিলা থেকে বাইনোকুলার দিয়ে বিওপির রান্নাঘর, মাইন ফিল্ড, বাঙ্কার, প্রবেশপথ পর্যবেক্ষণ করেন। দ্বিতীয় দিন মেজর এ জে এম আমিনুল হকের নির্দেশে ক্যাপ্টেন আমীন তার অধীনস্থ প্লাটুন অধিনায়কদের নিয়ে হালজাতি, নালাপথ ও শালবন এলাকা রেকি করে এফইউপি ও ফায়ার বেইসের অবস্থান বুঝিয়ে দেন। আর তৃতীয় ও শেষ দিন হালছটি গ্রামে নালার পাড়ে রেকি করেন ক্যাপ্টেন আমীন। অপারেশনের আগের ২ রাত এ জে এম আমিনুল হকের নেতৃত্বে সেনারা নিঃশব্দে পানিতে হাঁটার অনুশীলন করে, যেন অপারেশনের সময় নালা অতিক্রমে শব্দ না হয়।
ঠিক হয়, চূড়ান্ত আক্রমণ হবে ৩ আগস্ট দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে। ব্রাভো ও ডেল্টা কোম্পানি পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে নকশী বিওপির ওপর আক্রমণ করবে। আরআর ও মেশিনগান সাপোর্ট দেওয়া হবে। কাট অফ পার্টি থাকবে রাংটিয়ায়, যেন ঝিনাইগাতির দিক থেকে বিওপিতে কোনো সাহায্য না আসে এবং পাকিস্তানিরা কেউ পালাতে না পারে। তারা প্রয়োজনে কভারিং ফায়ার দেবে, রিজার্ভ ফোর্স হিসেবেও থাকবে। ঠিক করা হয়, ব্যাটালিয়ন কমান্ডার আমিনুল হক এবং ব্রিগেড কমান্ডার মেজর জিয়া থাকবেন পাশের হালজাতি গ্রামে।
এদিন রাত ১২টায় এফইউপিতে পৌঁছালেন মুক্তিযোদ্ধারা। মেজর আমিনুল হক ক্যাপ্টেন আমীনকে বললেন, 'আমি তোমাকে একাকী শত্রু সম্মুখে পাঠাতে পারি না। আমিও যুক্ত হই।' কিন্তু ক্যাপ্টেন আমীন তাকে বোঝালেন, একসঙ্গে ২ জন অফিসার হারানো মুক্তিবাহিনীর জন্য বোকামি হবে।
রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে ক্যাপ্টেন আমীন আহম্মেদ চৌধুরীর নির্দেশে মুক্তিবাহিনীর আর্টিলারি ফায়ার শুরু হয়। বিওপির দিক থেকে শুরু হয় পাল্টা আর্টিলারি ফায়ার। পাকিস্তানি আর্টিলারির ৩টি শেল মুক্তিবাহিনীর এফইউপিতে এসে পড়ে। শেলের আঘাতে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা হতাহত হন। প্লাটুনের সৈনিকরা আহতদের সেবার কথা বলে এফইউপিতেই থেকে যান।
অন্যদিকে আরআর ও মেশিনগান থেকে বিওপির ওপর প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ শুরু হয়। হালজাতি গ্রাম থেকে ২ ইপিআর প্লাটুন গুলিবর্ষণ শুরু করে। পাকিস্তানি সেনারা এক্সটেনডেন্ট লাইনের সামনে এগোলে ক্যাপ্টেন আমীন মর্টার গ্রুপকে নালার আড়াল থেকে গুলিবর্ষণ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেখানকার মুক্তিযোদ্ধারা পুরোপুরি প্রশিক্ষিত না হওয়ায়, আন্দাজ করে ফায়ার করতে শুরু করেন। এ সময় নায়েব সুবেদার কাদের ও বাচ্চুর ৫, ৬ নম্বর প্লাটুনসহ বিওপির গেটের ভিতর দিয়ে ঢোকার কথা। কিন্তু ওই প্লাটুনের সৈনিকরাও আড়াল থেকে এলোমেলো ফায়ার করতে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেন আমীন বাধ্য হয়ে চিৎকার করতে করতে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ক্যাপ্টেন আমীন 'চার্জ' বলে আদেশ দিতেই মুক্তিযোদ্ধারা সরাসরি বিওপি আক্রমণের জন্য এগিয়ে যেতে শুরু করেন। কিন্তু বিওপির ১০০ গজের মধ্যে পৌঁছাতেই একটি আর্টিলারি শেল তাদের ওপর পড়ে। এ সময় হাবিলদার নাসিরসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধারা।
বিওপির ৫০ গজের মধ্যে পৌঁছাতেই ক্যাপ্টেন আমীন আহম্মেদ চৌধুরীর পায়ে শেলের টুকরা আঘাত হানে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম মাইনের আঘাতে শহীদ হন। আহত হয়েও গুলি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন আমীন আহম্মেদ। তবে তাকে না পেয়ে সবাই ভেবেছিল, তিনি শহীদ হয়েছেন। এদিকে ক্যাপ্টেন আমীন নিখোঁজ শুনেই এ জে এম আমিনুল হক মুক্তিবাহিনীর কমান্ডো প্লাটুনের কয়েকজনকে নিয়ে ঢুকে পড়েন যুদ্ধক্ষেত্রে। পাকিস্তানি বাহিনী তখন জীবিত ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করছে। মাথার ওপর দিয়ে বৃষ্টির মতো ছুটছে গুলি। কিন্তু তাতেও সাহস হারালেন না মেজর আমিনুল হক।
তিনি খুঁজতে লাগলেন ক্যাপ্টেন আমীন আহম্মেদ চৌধুরীকে। সকাল ৮টার দিকে এ জে এম আমিনুল হক ক্যাপ্টেন আমীনকে খুঁজে পেলেন। শালবনের মধ্যে একটি গর্তে পড়ে ছিলেন ক্যাপ্টেন আমীন। মেজর আমিনুল হক সহযোদ্ধাদের নির্দেশ দিলেন তাকে তুলে আনতে। এই অবস্থায় কেউ তাকে আনতে রাজি হলো না। কারণ তখনো তুমুল গুলি বৃষ্টি চলছে।
এই পরিস্থিতিতে নিজেই ক্রলিং করে পৌঁছালেন ক্যাপ্টেন আমীনের কাছে পৌঁছালেন আমিনুল হক। ততক্ষণে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা তাদের ২৫ গজের মধ্যে এসে পড়েছে। তারা ২ জন সরে যেতেই ২ এলএমজিম্যান ফায়ার করে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর। ব্রাশফায়ারে ৬ পাকিস্তানি সেনা মুহূর্তেই নিহত হয়। বাকি ২ জন পালিয়ে যায়। এই যুদ্ধে মোট ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী পুরোপুরি সফল হতে না পারলেও, এটি ছিল মুক্তিবাহিনীর অন্যতম পরিকল্পিত যুদ্ধ।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে জেড ফোর্সকে তেলঢালা থেকে সিলেট রণাঙ্গনে পাঠানো হয়। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে মেজর আমিনুল হক সিলেটের চা বাগানগুলোতে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ গড়ে তোলেন।
অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক আমিনুল হক এবং ১ম ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক মেজর জিয়াউদ্দিন আহমেদের লক্ষ্য ছিল চা বাগানগুলো হানাদারমুক্ত করে সিলেটের দিকে অগ্রসর হওয়া। তারই প্রেক্ষিতে আমিনুল হক তার বাহিনী নিয়ে দক্ষিণাগুল চা বাগানে ফ্যাক্টরিতে অবস্থানরত ২২ বেলুচ রেজিমেন্টকে ঘিরে ফেলেন। এ সময় ২ পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ১৩ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। ১৫ জন রাজাকারকে আটক করে মুক্তিবাহিনী। এরপর মেজর আমিনুল হক এই চা বাগান মুক্তিবাহিনীর দখলে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
৭ নভেম্বর রাতে মৌলভীবাজারের দিলকুশাকে শত্রুমুক্ত করার অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেজর আমিনুল হক। এটি দিলকুশা রেইড নামেও পরিচিত। মেজর আমিনুল হকের নেতৃত্বে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলের ২ প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা এবং সেক্টর ট্রুপস দিলকুশায় পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থানের উপর হামলা চালায় ৭ নভেম্বর। এই যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বহু সেনা নিহত হয় এবং মুক্তিবাহিনী দিলকুশার দখল নেয়।
একই রাতে ২ ঘণ্টা যুদ্ধের পর মেজর এ জে এম আমিনুল হকের নেতৃত্বে সোনারুপা চা বাগানও দখল করে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল। অবস্থানগত কারণে এই চা বাগান মুক্তিবাহিনীর জন্য ছিল অতি গুরুত্বপূর্ণ।
মুক্তিযুদ্ধের ২৫ ও ২৬ নভেম্বর মেজর আমিনুল হকের নির্দেশে এক কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধা মৌলভীবাজার সীমান্ত অংশে রেইড চালান। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী চলা কামান যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়।
মেজর আমিনুল হকের নেতৃত্বে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল যখন মৌলভীবাজারের দিকে অগ্রসর হয়, তখন তাদের লক্ষ্য ছিল সিলেট অঞ্চলে প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত পাকিস্তানি বাহিনীর ৩১৩ ও ২০২ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড ২টিকে আক্রমণের মাধ্যমে পরাস্ত করা। তারা যাতে পিছু হটে ভৈরবে অবস্থানকারী ১৪ ডিভিশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই ডিভিশনের শক্তি না বাড়াতে পারে, তার ব্যবস্থা করা।
১ ডিসেম্বর মেজর আমিনুল হক ক্যাপ্টেন অলি আহমদকে এক কোম্পানি সেনা নিয়ে আলীনগর চা বাগানে পাকিস্তানিদের অবস্থানের ওপর আক্রমণ করার নির্দেশ দেন। আলীনগর চা বাগানে পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি ছিল। এই অবস্থান থেকে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটে এবং চা বাগানটি মুক্তিবাহিনীর দখলে আসে।
৮ ডিসেম্বর আমিনুল হকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর শ্রীমঙ্গল ঘাঁটি আক্রমণ করেন। ব্যাপক যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনী সিলেটের দিকে পিছু হটে। মেজর আমিনুল হকের নেতৃত্বে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলের মুক্তিযোদ্ধারাও তাদের অনুসরণ করেন এবং সুরমা নদীর তীরে প্রতিরক্ষাব্যূহ গড়ে তোলেন।
মৌলভীবাজার দখলে আনার লক্ষ্যে মেজর আমিনুল হক তার নেতৃত্বাধীন অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলকে ভারতীয় বাহিনীর ৮১ ব্রিগেডের সঙ্গে একত্রিত করে ১০ মাহার রেজিমেন্টের সহযোগিতায় আক্রমণের খসড়া করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৮ ডিসেম্বর রাতে ব্রিগেড আর্টিলারির সাপোর্ট নিয়ে মৌলভীবাজারে আক্রমণ করা হয়। সমন্বিত আক্রমণে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে পাকিস্তানি বাহিনী।
এ সময় আর্টিলারি ফায়ারে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবারুদে আগুন লেগে গেলে মেজর আমিনুল হকের নেতৃত্বে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মৌলভীবাজারের দখল নিয়ে নেয়। ইতোমধ্যেই মুক্তিবাহিনী মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের দখল নিয়ে নিয়েছে। ফলে পাকিস্তানি বাহিনী সিলেটের দিকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তখন মেজর আমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট রেললাইন ধরে ফেঞ্চুগঞ্জের দিকে অগ্রসর হয়।
১৩ ডিসেম্বর সিলেটের ৩ মাইল দক্ষিণে দাউদপুর পৌঁছে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল। এদিন দাউদপুর হানাদারমুক্ত করে মেজর আমিনুল হকের নেতৃত্বে সুরমা নদীর দক্ষিণ তীরে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। ১৫ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় সিলেট।
এ জে এম আমিনুল হকের জন্ম ১৯৪৪ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে। ১৯৮১ সালে আমিনুল হককে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। ১৯৯২ সালে তাকে এনএসআই'র মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে মারা যান এ জে এম আমিনুল হক, বীর উত্তম।
তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: দশম খণ্ড
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ব্রিগেড ভিত্তিক ইতিহাস
বাংলাপিডিয়া
আহমাদ ইশতিয়াক
ahmadistiak1952@gmail.com
Comments