শস্য রপ্তানি চুক্তির কয়েক ঘণ্টা যেতেই ওডেসা বন্দরে রুশ হামলা

ইউক্রেনের ওডেসায় রাস্তায় বসানো ব্যারিকেডের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন একজন। ১৭ মার্চ, ২০২২। ছবি: রয়টার্স

কিয়েভ এবং মস্কো পুনরায় শস্য রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টা যেতেই ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার ভোরে ওডেসা শহরে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। যদিও শুক্রবারের চুক্তির শর্তানুযায়ী, রাশিয়া ট্রানজিটে থাকা অবস্থায় বন্দরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু না করার বিষয়ে তারা একমত হয়েছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল টুইট করেন, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি রাশিয়ার 'সম্পূর্ণ অবজ্ঞা' প্রমাণ করে। ইস্তাম্বুলে চুক্তির স্বাক্ষরের একদিন পরে শস্য রপ্তানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা নিন্দাজনক ঘটনা। ইইউ এই হামলার 'তীব্র নিন্দা' জানায়।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, রাশিয়া, ইউক্রেন ও তুরস্কের মধ্যে যে শস্য চুক্তি হয়েছে তার পূর্ণ বাস্তবায়ন অপরিহার্য।

জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট মোকাবিলায় এবং লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এই পণ্য রপ্তানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

রাশিয়াকে দোষারোপ করে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী প্রধান জানিয়েছে, পরিকল্পিতভাবে বন্দরের শস্য গুদামগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সাউদার্ন কমান্ড সেন্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, কালিবরের দুটি ক্ষেপণাস্ত্র বন্দরে আঘাত হেনেছে এবং আরও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূপাতিত করেছে।

তব, এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে নাকি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার কিয়েভ ও মস্কোর কর্মকর্তারা ইউক্রেনে আটকে পড়া লাখ লাখ টন শস্য রপ্তানির অনুমতি দিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

এই হামলার ব্যাপারে রাশিয়া কোনো মন্তব্য করেছে কিনা তা বিবিসির প্রতিবেদেন উল্লেখ করা হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus for presenting true, impartial history of Liberation War

Directs all concerned to work accordingly to ensure that the real history of the Liberation War emerges through all the projects of the Liberation War affairs ministry in the coming days

8m ago