আগামী মাসে ইউক্রেন ‘আক্রমণ’ করতে পারে রাশিয়া: বাইডেন

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সেনা মোতায়েন করেছে। ছবি: রয়টার্স

হোয়াইট হাউস বলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করেছেন, রাশিয়া আগামী মাসে ইউক্রেন 'আক্রমণ' করতে পারে এমন একটি 'সম্ভাবনা' আছে। আজ শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

তবে, রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার প্রধান দাবি প্রত্যাখ্যান করার পর সংকট সমাধানে তারা 'আশাবাদের খুব একটা ভিত্তি' দেখছে না।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের সীমান্তে হাজার হাজার রুশ সেনা মোতায়েনের ফলে আগ্রাসনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিন্তু, হামলার পরিকল্পনা অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র এমিলি হর্ন জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন- ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ানরা ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে এমন একটি 'সম্ভাবনা' আছে।  তিনি প্রকাশ্যে এ কথা বলেছেন এবং আমরা কয়েক মাস ধরে এ বিষয়ে সতর্ক করে আসছি।

হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে আরও আক্রমণ করলে চূড়ান্ত জবাব দিতে মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতির বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করেছেন জো বাইডেন।

জেলেনস্কি বলেন, তারা উত্তেজনা নিরসনের বিষয়ে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং ভবিষ্যতের জন্য যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে একমত হয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন মিডিয়া অ্যাক্সিওস বলেছে, হুমকিটি কতটা আসন্ন তা নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বিমত আছে। কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়েছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের মাটি জমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে, যেন তারা ভারী সরঞ্জামগুলিতে স্থানান্তরিত করতে পারে।

নর্ড স্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইনটি রাশিয়া থেকে জার্মানির দিকে যাবে এবং বৃহস্পতিবার বার্লিনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া হামলা চালালে এই প্রকল্প নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে।

পশ্চিমা মিত্ররা বলছে, ইউক্রেনে হামলা হলে তারা রাশিয়ার অর্থনীতিকে লক্ষ্যবস্তুতে করবে হবে এবং তাদের অবস্থানকে আরও কঠোর করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ১ হাজার ২২৫ কিমি (৭৬০ মাইল) এই পাইপলাইনটি তৈরি করতে পাঁচ বছর সময় লেগেছিল এবং ১১ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। বাল্টিক সাগরের নিচ দিয়ে পরিচালিত এই জ্বালানি প্রকল্প জার্মানিতে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি দ্বিগুণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এটি কাজ শুরু করেনি, কারণ নভেম্বরে নিয়ন্ত্রকরা বলেছিল যে- এটি জার্মান আইন মেনে চলে না।

রাশিয়া আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করলেও গত মাসে পশ্চিমাদের কাছ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা দাবি করেছিল। যার মধ্যে আছে ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। তবে, যুক্তরাষ্ট্র এই মূল দাবিটি প্রত্যাখ্যান করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Inside the 3-year plan to fix banks

Bangladesh has committed to a sweeping overhaul of its troubled financial sector, outlining a detailed three-year roadmap as part of its latest agreement with the International Monetary Fund.

9h ago