রাশিয়ার ৬৩ ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। ছবি: সংগৃহীত

রুশ গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ৬৩ জন ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের যুক্তরাজ্য ভ্রমণে এবং সম্পদের ওপরে স্থিতাবস্থা জারি করা হয়েছে।

আজ বুধবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এ ঘোষণা দিয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন রুশ সরকার নিয়ন্ত্রিত চ্যানেল ওয়ানের কর্মী, ইউক্রেনের সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া রুশ সাংবাদিক।

এছাড়া রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অল রাশিয়া স্টেট টেলিভিশন ও রেডিও, বার্তাসংস্থা ইনফোরস, সাউথফ্রন্ট ওয়েবসাইট, অনলাইন জার্নাল স্ট্র্যাটেজিক কালচার ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া রাশিয়ায় কনসালটেন্সি, অ্যাকাউন্টিং ও জনসংযোগসহ সব ধরনের সেবা দেওয়া বন্ধের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

লিজ ট্রাস বলেছেন, 'এ নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন সেবা রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে।'

এ নিষেধাজ্ঞা 'ইউক্রেনে পুতিনের ব্যর্থতা' নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, রাশিয়া অ্যাকাউন্টেন্সি, ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি ও জনসংযোগ সেবার ১০ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে পেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, 'পুতিনশাসিত দেশের সঙ্গে ব্যবসা করা নৈতিকভাবে দেউলিয়াত্ব এবং ইউক্রেনে মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের কারণ যে যুদ্ধ, তাতে অর্থ সহযোগিতা করা।'

'যুক্তরাজ্য থেকে পাওয়া সেবাগুলো বন্ধ করলে ক্রেমলিনের ওপর আরও চাপ তৈরি হবে এবং শেষ পর্যন্ত পুতিনের ইউক্রেনে ব্যর্থতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে,' বলেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য মন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং বলেন, 'আমাদের বিশ্বমানের ব্যবস্থাপনা কনসালটেন্সি, অ্যাকাউন্টেন্সি এবং পিআর ফার্মগুলোকে রাশিয়ায় প্রবেশাধিকার সীমিত করে আমরা ক্রেমলিনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছি।'

এদিকে যুক্তরাজ্যের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেট সেবায় রাশিয়ার রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আরটি এবং স্পুটনিকের কনটেন্ট ব্লক করার আইন এখন কার্যকর।

দেশটির কারিগরি ও ডিজিটাল অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস ফিলপ বলেন, 'এখন আমরা ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং অ্যাপগুলোতে তাদের মিথ্যার বিস্তার বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Chinese firms bullish on Bangladesh’s manmade fibre

Chinese firms bullish on Bangladesh’s manmade fibre

Non-cotton garments are particularly lucrative, fetching higher prices than traditional cottonwear for having better flexibility, durability

15h ago