সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর: সংসদীয় কমিটির সভাপতি
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2022/05/12/crb-area-1.jpg?itok=8e6suLBD×tamp=1652361904)
চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে কি না, সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ১০ মে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২০তম সভায় সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রেলওয়ের ডিজি এই প্রসঙ্গটি তুলেছেন।'
'আলোচনায় বলা হয়েছে, সিআরবিতে হাসপাতাল করা না গেলে বিকল্প হিসেবে কুমিরায় রেলওয়ের পরিত্যক্ত টিবি হাসপাতালের জায়গায় হাসপাতাল নির্মাণ করা যেতে পারে। তবে কোনো প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন,' বলেন তিনি।
এর আগে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় সিআরবি সংলগ্ন ৬ একর জায়গায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে।
গত বছর ৭ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটির নাম বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্বাস্থ্যসেবা কমপ্লেক্স করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কিন্তু চট্টগ্রামের ফুসফুসখ্যাত সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ না করার জন্য একাধিক সংগঠন গত ১ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি, সিআরবি নগরের এক টুকরো সবুজ এলাকা। এই এলাকাটি ধ্বংস হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বাসযোগ্যতা হারাবে। তাই বিকল্প স্থানে হাসপাতাল নির্মাণের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
এই বিষয়ে হাসপাতাল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক কায়েস খলিল খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রেলওয়ে আমাদের এখনো কিছু জানায়নি। আমরা সিআরবির পাশে প্রস্তাবিত স্থানে হাসপাতাল নির্মাণ করার কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগির নির্ধারিত স্থানে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।'
বিকল্প জায়গা দিলে সেখানে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ হাসপাতাল নির্মাণ করবে কি না, জানতে চাইলে কায়েস খলিল খান বলেন, 'এই হাসপাতাল তৈরির জন্য সমীক্ষা, চুক্তিসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক কাজ করতে ৬-৭ বছর সময় লেগে গেছে। বিকল্প স্থান দেওয়া হলে আবারও একই সময় লাগবে। তাই বিকল্প স্থানে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে আমরা এখন কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।'
২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) সভায় পিপিপির ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ প্রকল্প নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ৩৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর খসড়া চুক্তিপত্র অনুমোদন করে আইন মন্ত্রণালয়। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি সিসিইএ কমিটির বৈঠকের পর ১৩ ফেব্রুয়ারি পিপিপি প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি এটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ ২৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করবে প্রথম ধাপে। দ্বিতীয় ধাপে আরও ২৫০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করবে। রেলওয়ের কর্মীরা ২০ শতাংশ ছাড়ে চিকিৎসাসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা পাবেন এই হাসপাতাল থেকে।
Comments