চট্টগ্রামের সিআরবিতে হাসপাতাল না করতে ১০১ নাগরিকের বিবৃতি

চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল স্থাপন না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বন্দর নগরীর ১০১ নাগরিক। তারা জানান, এই এলাকায় হাসপাতাল ভবন করা হলে তা পরিবেশ ও জৈববৈচিত্রে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
ছবি: সঞ্জয় কুমার বড়ুয়া/ স্টার

চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল স্থাপন না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বন্দর নগরীর ১০১ নাগরিক। তারা জানান, এই এলাকায় হাসপাতাল ভবন করা হলে তা পরিবেশ ও জৈববৈচিত্রে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

গতকাল শনিবার তারা সংবাদমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠিয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন, চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. মাহফুজুর রহমান এবং শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফি।

বিবৃতিতে তারা জানান, সিআরবি এলাকা চট্টগ্রামের অক্সিজেন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। অনেক মানুষ প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় এখানে হাঁটতে এবং নির্মল বাতাসে নিশ্বাস নিতে আসেন।

শতবর্ষী বৃক্ষ ঘেরা পাহাড়, টিলা ও উপত্যকা ঘেরা এলাকাটি জনসমাগমের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। অবিভক্ত ভারতের বেঙ্গল অ্যান্ড আসাম রেলওয়ের সদর দপ্তর সিআরবি ভবনটি নির্মাণ করা হয় ১৮৯৫ সালে। ফলে এলাকাটির ঐতিহ্যগত গুরুত্বও রয়েছে।

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক প্রাকৃতিক ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক পরিবেশ, বন, পাহাড় ধ্বংস করে বন্দরনগরীর ফুসফুস খ্যাত চিরসবুজ সিআরবিতে শুধু হাসপাতাল নয়, কোনো ধরনের স্থাপনা করা সমীচীন হবে না। প্রকৃতি ও পরিবেশবিনাশী সব কর্মকাণ্ডই হবে আত্মবিধ্বংসী। তাই প্রকল্পটি চট্টগ্রামের অন্য এলাকায় স্থানান্তরের আহ্বান জানান বিবৃতিদাতারা।

তারা জানান, শহরের উপকণ্ঠে এমনকি রেলওয়ের অনেক জায়গা খালি পড়ে আছে এবং রেলওয়ের অনেক জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে, এইসব জায়গার যেকোনো একটিতে প্রস্তাবিত হাসপাতাল করা যেতে পারে বলেও মতামত দেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago