রোহিঙ্গারা আসার পর দেশে ইয়াবা চোরাকারবার বেড়ে গেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Home Minister-1.jpg
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল| ফাইল ফটো

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর মিয়ানমার থেকে দেশে মাদক বিশেষ করে ইয়াবা চোরাকারবার বেড়ে গেছে। 

আজ বুধবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে 'রোহিঙ্গা অ্যান্ড নারকো টেরোরিজম' বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

ডিপ্লোম্যাটস ওয়ার্ল্ড পাবলিকেশন আয়োজিত এ সেমিনারে গবেষক ও কর্মকর্তারা বলেন, 'মাদক চোরাকারবারের বিষয়টি এ অঞ্চলে গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে।'

মাদক উৎপাদক ও সরবরাহকারী হিসেবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন।

সেমিনারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলে পুলিশ ২০১৬ সালে ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার ইয়াবা জব্দ করে। রোহিঙ্গা আসার পর ২০১৮ সালে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২০ লাখে।

তিনি বলেন, 'আমরা লক্ষ্য করেছি যে রোহিঙ্গারা আসার পর ইয়াবা আসার পরিমাণ বেড়ে গেছে।'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্তের কিছু জায়গা দিয়ে মাদক চোরাকারবারি চলে। এই জায়গাগুলো দিয়ে আরও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। মাদকাসক্তরা চরমপন্থী সংগঠনের সহজ শিকার হতে পারে।'

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, 'ঐতিহাসিকভাবে মিয়ানমার আফিম উৎপাদনকারী দেশ। মহামারির লকডাউনের সময় মাদক চোরাকারবারি সিন্ডিকেট এই অঞ্চলে সিনথেটিক ড্রাগের দিকে ঝুঁকে যায়।'

রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, '২০২২ সালে লাওস, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ৯০ মিলিয়ন মেথামফেটামিন ট্যাবলেট এবং শুধু ২০২২ সালের জানুয়ারিতেই ৪ দশমিক ৪ টন ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন জব্দ করেছে।'

অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, 'এতে বোঝা যায় যে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর অস্থিতিশীলতার কারণে এ অঞ্চলে মাদক চোরাকারবার আরও বেড়ে গেছে।'

তিনি বলেন, 'রাখাইনের মংডু শহর থেকে টোমব্রু সীমান্তে ইয়াবা নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শূন্যরেখার ঠিক পাশে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প দিয়ে তা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।'

সেমিনারে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহফুজুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহাব এনাম খান, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দাহিলান, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম এবং ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন হাজি ওসমান বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

Excavator brought to demolish Dhanmondi-32

An excavator was brought to Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman's Dhanmondi-32 residence tonight following social media announcements of a "Bulldozer Procession" to get rid of the "pilgrimage site of fascism"

4h ago