যেমন আছেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন
মামলার জটে আটকে থাকায় ভারতের মেঘালয় থেকে দেশে ফিরতে পারছেন না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংবাদ ছড়িয়ে পড়ছে তিনি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন, দেশে ফিরবেন।
শিলং থেকে টেলিফোনে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এগুলো পুরনো সংবাদ, সত্যতা নেই। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলাম। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে। তারপর থেকে প্রতিবছর এ রকম বিভ্রান্তিকর সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কে বা কারা প্রকাশ করে। ফেসবুকে কারা এমন সংবাদ প্রকাশ করে, কেন প্রকাশ করে—এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এমনিতেই নানা রকমের কষ্টে আছি। এগুলো আরও কষ্ট বৃদ্ধি করে। মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয় এসব সংবাদ।'
এখন মামলাটি ঠিক কোন অবস্থায় আছে? দেশে কবে ফিরতে পারবেন, সে বিষয়ে কোনো ধারণা করতে পারছেন?
সালাহউদ্দিন বলেন, 'আপিল পেন্ডিং অবস্থায় আছে। কোনো শুনানি হচ্ছে না। ২ দেশের ভেতরের বিষয়। কবে শুনানি হবে কোনো ধারণা নেই। কবে মামলা শেষ হবে, কবে দেশে ফিরতে পারবো—তা কী করে বলব!'
তাহলে আরও লম্বা সময় শিলংয়েই কাটবে?
বিষণ্ন কন্ঠে সালাউদ্দিন বলেন, 'বেঁচে থাকলে কাটবে। মরে গেলে তো গেলামই!'
২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। পরবর্তীতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে 'উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাফেরা' করার সময় ওই বছরের ১১ মে তাকে আটক করে শিলং পুলিশ। তার নামে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা করা হয়।
তিনি শিলং পুলিশকে জানান, গোয়েন্দা পরিচয়ে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ তাকে তার উত্তরার বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। একটি প্রাইভেট কারে তাকে শিলং নেওয়া হয়। কিন্তু গাড়িটি কোথা থেকে ছেড়েছিল বা গাড়িতে আর কে বা কারা ছিলেন তা তিনি বলতে পারেননি।
২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
মেঘালয়ে যখন আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।
২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে তাকে খালাস দেন ভারতের একটি আদালত। সে সময় তিনি বলেছিলেন, 'আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। দ্রুত দেশে ফিরে যেতে চাই।'
তবে আদালতের এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে থেমে যায় সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা।
Comments