বাংলাদেশ ঋণগ্রস্ত না, শ্রীলঙ্কাকেও ঋণ দিয়েছে: কাদের

quader.jpg
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিবের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আমরা নিজেদের স্বকীয়তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ঋণগ্রস্ত না, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকেও ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে

আজ শনিবার দুপুরে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রতিদিনই বিএনপি মহাসচিবের পলিটিক্যাল হ্যালুসিনেশন হয়। তিনি বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দিয়ে শ্রীলঙ্কায় চলে যান ভাসতে ভাসতে। আমরা কারো সঙ্গে বাংলাদেশকে তুলনা করি না। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আমরা নিজেদের স্বকীয়তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ঋণগ্রস্থ না, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকেও ঋণ দিয়েছে ২০০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের সাফল্যের কাহিনী কি আপনাদের লজ্জা দেয়? বাংলাদেশের মানুষ খুশি থাকলে ফখরুল সাহেবের মন খারাপ হয়ে যায়। বিএনপি নেতাদের মন খারাপ হয়ে যায়। যখন বাংলাদেশ আনন্দে ঈদ উদযাপন করে তখন ফখরুল সাহেবের মন খারাপ হয়ে যায়। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে নিজ দলের অপকর্মকারীদের তিনি বিচার করেন। এ পর্যন্ত তিনি সেটা প্রমাণ করেছেন। একজনের নাম বলেন যার বিচার খালেদা জিয়ার আমলে আপনারা করেছেন।

আজকে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে। এই জোটের নেতা কে, ঐক্যজোট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে এটা মানুষ জানে না। এ ধোঁয়াশার অবসান ঘটান। টেমস নদীর ওপাড় থেকে এসে নাকি আপনারা কেউ নেতৃত্ব দিচ্ছেন? কোথায় আন্দোলন! লজ্জা করে না? নিজ দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য চোখে পড়ার মতো একটা সমাবেশ-মিছিল আপনারা করতে পারেননি। তারা আবার আন্দোলনের কথা বলে। আগে নেতা ঠিক করুন। ঘরে যাদের ঐক্য নেই তারা আবার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে, ঐক্যজোট করবে। দেখেছি গত নির্বাচনে ঐক্যজোটের লেজে-গোবরে অবস্থা, বলেন কাদের।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নতুন ঐক্যের ডাক জনগণের সঙ্গে নতুন তামাশা বলে আমরা মনে করি। ফখরুল সাহেবদের মাগুরা মার্কা নির্বাচনের কথা বাংলার মানুষ ভুলে যায়নি। বাংলাদেশে আর মাগুরা মার্কা ওই নির্বাচন হবে না। মাগুরাবাসী ভুল বুঝবেন না।

Comments

The Daily Star  | English

Tax authority to split. Will it bring the desired outcome?

Touted as a historic overhaul, the move has ignited debate over whether it will drive meaningful reform or merely deepen the layers of bureaucracy, given the NBR's persistent failure to meet its targets.

14h ago