জনতার হৃদয়ে আপসহীন ভাসানী
শোক এবং বেদনাবিধুর স্মৃতিময় একটি দিন ১৭ নভেম্বর ১৯৭৬। এ দিনের শোক ব্যক্তির নয়, সামষ্টিক। এ দিনে এ দেশের অগণিত মানুষকে শোক বিহ্বল করে চির বিদায় নেন মেহনতি-শ্রমজীবী, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের কাণ্ডারি, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে আমৃত্যু আপসহীন মওলানা ভাসানী।
তার অসীম সাহস আর নির্ভীক চেতনালব্ধ রাজনীতি আতঙ্কিত করেছিল স্থানীয় সামন্তদের যেমন, তেমনি সাম্রাজ্যবাদী চক্রকেও। পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আপসহীন তার সংগ্রাম আমৃত্যু সক্রিয় ছিল। কখনো ছন্দপতন ঘটেনি। জনগণের মুক্তি সংগ্রামে সারা জীবন অকুতোভয় মওলানা ভাসানী। কখনো বিচ্যুত হননি। আত্মসমর্পণও করেননি।
সারাজীবন জেল-জুলুম নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেছেন, সমঝোতার নজির রেখে যাননি। আন্দোলনেই মুক্তি সম্ভব, অন্য কোনো উপায়ে নয়-এই সত্যটি তিনি ধারণ করেছেন। ক্ষমতার রাজনীতির শৃঙ্খল মুক্ত ছিলেন বলেই মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সারাটি জীবন অবিচল ছিলেন। কখনো সমঝোতা বা আত্মসমর্পণ কোনোটি করেননি।
আসামে বসবাসরত বাঙালিদের সংকট বহুকালের। ভাসানীর মতো নেতা আসাম আর দ্বিতীয়টি পায়নি বলেই অনেকের ধারণা। আসামের বাঙালিরা কৃষিকাজে অংশ নিতে পারলেও কৃষিজমির মালিকানা তাদের ছিল না। জমিদার-ভূস্বামীরা যখন ইচ্ছা তখন ভূমি থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করতে পারতো। মওলানা ভাসানী আসামের ভাসান চরে আসাম-বাংলা প্রজা-সম্মেলনের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে হলেও ভূমিতে সাধারণ চাষীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। ১৯২০ সালে আসাম সরকারের প্রবর্তিত লাইন প্রথার বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী লাইন প্রথা বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। আসামের বঞ্চিত বাঙালিদের সংগঠিত করে গঠন করেন 'আসাম চাষী মজুর সমিতি'।
এই সমিতির মাধ্যমে লাইন প্রথার বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৩৭ সালে আসাম প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে মওলানা ভাসানী লাইন প্রথা বিরোধী একটি বিল উত্থাপন করেন। লাইন প্রথার প্রশ্নে কংগ্রেস সরকারের নির্লিপ্ত ভূমিকার তিনি কঠোর সমালোচনা করেন। ১৯৪২ সালের ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি বাঙলা-আসাম প্রজা সম্মেলন থেকে তিনি কঠোরভাবে সরকারকে জানিয়ে দেন, ৩১ মার্চের মধ্যে 'লাইন প্রথা' বিলুপ্ত করা না হলে এপ্রিল মাস থেকে তিনি আইন-অমান্য আন্দোলন শুরু করবেন। বিপদ বুঝে সরকার এক বছরের জন্য মওলানা ভাসানীর সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু সেভাবে তাকে দমন করা সম্ভব হয়নি। মওলানা ভাসানীর চাপে ১৯৪৩ সালের ২৪ আগস্ট 'লাইন প্রথা'কে কিছুটা শিথিল করে সরকারি নির্দেশ জারি করা হয়। পরের বছর মার্চে ব্যবস্থাপক সভার বাজেট অধিবেশনে তিনি আসামের অতিরিক্ত জমি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী, হিন্দু ভূমিহীন কৃষক এবং অভিবাসী বাঙালিদের মধ্যে বিলি-বণ্টনের দাবি জানান।
১৯৫৭ সালেই কাগমারী সম্মেলনে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, 'আচ্ছালামু আলাইকুম'। বৈষম্যপূর্ণ পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর অধীনে পূর্ব বাংলার মানুষদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিয়ে পাকিস্তানি রাষ্ট্রাধীনে থাকা সম্ভব নয়, এই সত্যটি তিনি তখনই উপলব্ধি করেছিলেন বলেই পাকিস্তানি শাসকদের উদ্দেশ্যে নির্ভয়ে ১৯৫৭ সালেই ঘোষণাটি দিয়েছিলেন। ১৯৭১-এর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি রাষ্ট্র কাঠামো থেকে পৃথক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম। কিন্তু এই স্বাধীনতা সকল মানুষের অধিকার ও সুযোগের সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। সে কারণে স্বাধীন দেশে তার সংগ্রাম থেমে যায়নি। আমৃত্যু জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবিচল থেকেছেন।
ইঙ্গ-মার্কিন সামরিক চুক্তি এবং যুদ্ধজোটবিরোধী আওয়ামী মুসলিম লীগের নীতিগত অবস্থান ছিল স্পষ্ট। অথচ আওয়ামী মুসলিম লীগের অপর নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ামাত্র দলীয় নীতি-সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ইঙ্গ-মার্কিন সামরিক চুক্তি এবং যুদ্ধজোটের পক্ষাবলম্বনের কারণে দলীয় সভাপতি ভাসানী চরম ক্ষুব্ধতায় ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন আহ্বান করেন। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীও মঞ্চে ছিলেন। সোহরাওয়ার্দীকে উদ্দেশ্য করে ভাসানী বলেছিলেন-'আমার জান যায় যাবে, আমি যুদ্ধজোটের বিরোধিতা করবই। আমাকে কেউ মানাতে চাইলেও মানব না। কবর থেকে চেঁচিয়ে উঠব, না-না ওই সর্বনাশা যুদ্ধজোটের পক্ষে আমি থাকব না।'
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত শেখ মুজিব তার মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জেল থেকে সাংবাদিক আতাউস সামাদের মাধ্যমে পত্র লিখেছিলেন অন্য কাউকে নয়, ভাসানীকে। তিনি জানতেন একমাত্র ভাসানীর পক্ষেই তীব্র গণআন্দোলন সংগঠিত করা সম্ভব। ভাসানীর নেতৃত্বে তীব্র আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়ে আইয়ুব খান গোলটেবিল বৈঠকের বাতাবরণে পরিস্থিতি সামাল দেবার কৌশল এঁটেছিলেন। প্যারোলে মুক্তি এবং আইয়ুব খানের গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিতে শেখ মুজিবকে ভাসানী বারবার নিষেধ করেছিলেন। প্যারোলে মুক্তির বিরোধিতা করে ভাসানী বক্তৃতায় বলেছিলেন, 'মুজিব তুমি প্যারোলে মুক্তি নেবে না। প্রয়োজনে আমরা কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করব।' ১৯৭০ এর নির্বাচনে ভাসানী অংশ না নিয়ে একদিকে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করেছিলেন, পাশাপাশি আমাদের জাতীয় ঐক্যের পথকে সুগম করেছিলেন।
ভোটযুদ্ধে বিভেদ-দ্বন্দ্বের সুযোগ পাকিস্তানি শাসকদের হাতে তুলে দেননি। যার সুফল আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেছে। পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র ভাসানী উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই শেখ মুজিবের উদ্দেশে বলেছিলেন, 'মুজিব তুমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার আশা ত্যাগ কর। তোমাকে ওরা প্রধানমন্ত্রী হতে দেবে না।' দূরদর্শিতায় ভাসানী ছিলেন অনন্য-অসাধারণ। ভাসানীর আশঙ্কা কখনো বিফল হয়নি।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব (মাঠে) দিয়েছেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ। অস্থায়ী সরকারকে রক্ষায় এবং মুক্তিযুদ্ধে ভাসানীর অংশগ্রহণ প্রমাণ করতে তাজউদ্দীনের অনুরোধে উপদেষ্টা পরিষদের একমাত্র সভায় কলকাতায় এসে ভাসানী যোগ দিয়েছিলেন এবং ভূমিকা রেখে রক্ষা করেছিলেন যেমন তাজউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন সরকারকে-তেমনি চলমান মুক্তিযুদ্ধকেও।
খন্দকার মোশতাক দিল্লিস্থ মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে আপস-সমঝোতার উদ্যোগ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিনাশের তৎপরতায় তাজউদ্দীন আহমদ দ্রুত পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পদ থেকে তাকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর ভাসানীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে প্রকৃত শত্রুকে তিনি যথার্থই চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন। সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদবিরোধী তার অনড় অবস্থান সে প্রমাণই দেয়। বৈষম্যপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্রের অবসানে সারাটি জীবন লড়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর দেশকে পুঁজিবাদী ধারায় ঠেলে দেবার চক্রান্তে সাম্রাজ্যবাদী চক্র তাদের অনুগত সামরিক শাসকের দ্বারা বাস্তবায়নে একমাত্র অন্তরায় ছিলেন মওলানা ভাসানী। তাই ভাসানীর দল ভাঙার কৌশল অবলম্বন করে, ভাসানীকে একা এবং একঘরে করার ষড়যন্ত্র আঁটা হয়েছিল। সে সমস্ত উদ্যোগ বা ষড়যন্ত্র সফল হয়েছিল বলেই দলবিহীন একা কষ্টে-হতাশায় বিপন্ন অবস্থায় ভাসানী মৃত্যুবরণ করেছিলেন। ভাসানীর মৃত্যুর পর তার দলের সুবিধালোভী অনেক নেতা সামরিক সরকারে যোগ দেয়। ভাসানীর প্রতীক ধানের শীষ সমেত অবৈধ সামরিক সরকারে সুবিধাবাদীদের বিলীন হয়ে যাবার কাহিনী তো কারো অজানা নেই।
ভাসানীর মৃত্যু সংবাদ শোনামাত্র ছুটে যাই ঢাকা মেডিকেলের তিন তলার পরিচিত সেই কেবিনে। করিডোরে উৎসুক মানুষ আর ভাসানীর অনুসারীদের ভিড়। ভিড় ঠেলে কেবিনের দরজায় ধাক্কা দেই। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। দরজা খোলা মাত্র ভেতরে ঢুকে দেখি চির শয়ানে নিথর ভাসানী। গণমাধ্যমের ফটো সাংবাদিকদের ছবি তোলার হিড়িক। শব ট্রলিতে উঠিয়ে নিচে রওনার প্রাক্কালে ট্রলি ধরতে অনেকে ঝাঁপিয়ে পড়ায় ট্রলির পেছনের দিক খুলে বিশ্রী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। ভাগ্যিস পারেভজ ভাই (বাংলা একাডেমির সামনের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত) দ্রুত ঝাঁপিয়ে ট্রলির পেছনের অংশ তুলে না ধরলে কেলেঙ্কারি ঘটে যেত। ট্রলি ঠিক করে নিচের আউটডোরের বিশাল বারান্দায় শব রাখা হলো। রাত ১০টায় ঢাকা মেডিকেল চত্বর লোকে লোকারণ্য। সামরিক শাসনের ক্রান্তিকালে রাতে কেউ বাইরে থাকার সাহস করতো না। কিন্তু সেই রাতে হাজারো মানুষের সরব উপস্থিতি-আহাজারিতে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল।
রাত বাড়ছে কিন্তু দর্শনার্থীদের ভিড় কমছে না। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য বারান্দার উত্তর পাশ থেকে দেহ সরিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব পাশে আনা হয়। যেন সারিবদ্ধ মানুষ লাইন ধরে ভাসানীকে দেখতে পারে। রাত ২টায় দর্শনার্থী কমে এলে বারান্দার পশ্চিম দিকে নিয়ে চারদিকে কাপড় টাঙিয়ে শেষ গোসলের আয়োজন করা হয়। গোসলে মৌলভীর সঙ্গে আমি নিজেও যোগ দেই। ভাসানীকে গোসল করানোর ফাঁকে মৃত্যুর পূর্বে লন্ডনে অপারেশনের শুকিয়ে যাওয়া ক্ষতস্থান ধরে দেখলাম, হিমশীতল।
কাফনে আবৃত করে বারান্দার মাঝখানে লাশ এনে রাখা হলো। লাশের চারপাশে বড় বড় বরফের চাঁই দেওয়া হলো। ডিউটিরত পুলিশেরা দেয়ালে হেলান দিয়ে ঝিমুচ্ছে। মরদেহের সামান্য দূরে বসে প্রখ্যাত শিল্পী মোস্তফা আজিজ এঁকে চলেছেন ভাসানীর শব ও পারিপার্শ্বিক দৃশ্যাবলী। নিদ্রাচ্ছলে দেয়ালে হেলান দেওয়া পুলিশের স্কেচ শিল্পীর খাতায় দেখে কতিপয় পুলিশ তীব্র আপত্তি জানালে আমাদের প্রতিরোধে চুপ হয়ে যায়।
ভোরের পূর্বে ট্রাক এলো। মরদেহ এবং বরফের চাঁই তুলে রওনা হলাম টিএসসিতে। মরদেহ টিএসসির অডিটোরিয়ামের পূর্ব-উত্তর কোণে। অন্ধকার কেটে ভোরের আকাশে আলো ফোটা মাত্র নেমে আসে অগণিত মানুষের ঢল। শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে যায়। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে কিন্তু দর্শনার্থী কমছে না।
সকাল ৯টায় প্রয়াত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবীরের সঙ্গে এলেন প্রয়াত উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকা। আলমগীর কবীরের সীমানা পেরিয়ে ছবির সঙ্গীতের কাজে তখন তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। ভূপেন টিএসসির উত্তর-দক্ষিণের লম্বা বারান্দার মাঝামাঝিতে অনেকক্ষণ থাকায় তার সাথে আগ বাড়িয়ে কথা বলেছিলাম। জিজ্ঞেস করেছিলাম ভাসানী সম্পর্কে। তিনি আসামের অধিবাসী। মওলানা ভাসানী দীর্ঘকাল আসামে ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখতে প্রথমে আসামেই গিয়েছিলেন। ভাসানী ও তার রাজনীতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা ভূপেনের ছিল বলেই অকপটে বলেছিলেন, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ভাসানীর অনড় অবস্থানের কারণে ভাসানীর প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধার কথা। ভারতবর্ষের বড় মাপের শীর্ষ জাতীয়তাবাদী নেতাদের থেকে ভাসানীকে সহজে চেনা যায় তার রাজনীতির কারণেই। মওলানা ভাসানী সম্পর্কে ভূপেনের মূল্যায়ন উপমহাদেশের শীর্ষ জাতীয়তাবাদী নেতাদেরও ছাড়িয়ে যায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমুদ্রে জানাজা শেষে ট্রাকযোগে লাশ হেলিপোর্টে রওনা হলে আমরা গাড়িতে রওনা হলাম সন্তোষ অভিমুখে।
মযহারুল ইসলাম বাবলা: নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত
Comments