আন্দোলনের পক্ষে বিএনপি নেতারা
তিন দিনের ধারাবাহিক বৈঠকে বিএনপির প্রায় সব নেতাই দলের শীর্ষ নেতাদের বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
সরকারকে নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের অধীনে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করার জন্য আন্দোলনে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।
গত ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হওয়া বৈঠকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ফ্রন্ট ও সহযোগী সংস্থাগুলোর অন্যান্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মোট ২৪৯ জন নেতা সভায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে ১১২ জন বক্তব্য দেন। ১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় আলোচনা চলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, সব নেতারা বলেছেন, নির্বাচনের মাঠে নামার আগে আন্দোলনের বিকল্প নেই।
দলীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার আলোচনা করা হয়। তখন কমিটি দেখতে পায়, প্রায় সব নেতাই বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
আগামী ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিএনপি দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য জানান, তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে দলের কৌশল কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন, সেসব বৈঠকে শীর্ষ নেতারা তা জানার চেষ্টা করবেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখানে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রকাশ করবেন তিনি।
সূত্র জানায়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের শীর্ষ নেতা ও তৃণমূল নেতাদের মতামত পেতে ১০-১২টি আলোচনার বিষয় ঠিক করেছেন।
দলীয় নেতারা জানান, পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে দল পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করবে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, মির্জা ফখরুল গতকাল রাতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার বাসায় দেখা করেছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর এবারই প্রথম এ পর্যায়ের ধারাবাহিক বৈঠক করছে বিএনপি। তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার পর এটি সবচেয়ে বড় বৈঠক।
সরকার সাজা স্থগিত করার কারণে খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারের বাইরে আছেন। দেশে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি তারেক লন্ডনে পলাতক।
প্রতিবেদনটি অনুবাদ করেছেন জারীন তাসনিম
Comments