মামলা খারিজ, চট্টগ্রাম ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ চলতে বাধা নেই

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পের জমি বিরোধ নিয়ে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ নুশরাত জাহানের আদালত এ আদেশ দেন।

ওয়াসার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'স্যুয়ারেজ প্রকল্পের বিরুদ্ধে করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এখন আর কাজ চলতে বাধা নেই।'

২০২১ সালে হালিশহরের ১৬৩ দশমিক ৮৫৫ একর জমিতে স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম ওয়াসা।

এর আগে ওই জমির বিষয়ে চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত জমির বেআইনি ব্যবহার, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ চট্টগ্রামের একটি আদালতে খতিয়ান সংশোধন ও নিষেধাজ্ঞার মামলা করেন ভুক্তভোগী জমির মালিক ছৈয়দ মুহাম্মদ এনামুল হক মুনিরী।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম ওয়াসাসহ বিবাদীদের কারণ দর্শানোর আদেশ দেন। আদালতের নোটিশ আমলে নেননি বিবাদীরা।

৪ এপ্রিল এ মামলায় শুনানি শেষে ৬ এপ্রিল স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন আদালত।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরীর মধ্য হালিশহরের চৌচালা এলাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও স্যুয়ারেজ প্রকল্পের জন্য ১৯৬২-৬৩ সালে ১৬৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে ওয়াসা।

দীর্ঘদিনেও প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় অধিগ্রহণ করা জমি ফেরত চেয়ে ২০০১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে স্থানীয়রা।

২০১৪ সালে হাইকোর্ট চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে নির্দেশ দেন।

কিন্তু ওই আদেশের বিষয়টি নিষ্পত্তি না করে ওয়াসা কাজ শুরু করায়, আদালতে মামলা করেন হালিশহরের কৃষি জমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ এনামুল হক মুনিরী।

বর্তমানে এ জমিতে নগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।

এটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিদিন ১০ কোটি লিটার পয়ঃবর্জ্য এবং ৩০০ ঘনমিটার ফেকাল স্লাজ পরিশোধন সম্ভব হবে, যা নগরীর মোট পয়ঃবর্জ্যের ২০ শতাংশ এবং ফেকাল স্লাজের ৪১ শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English
bangladesh bank buys dollar

BB buys $313m more from 22 banks

The cut-off rate was Tk 121.5 per US dollar

2h ago