চট্টগ্রাম ওয়াসা গঠনের ৫৯ বছর

কেন্দ্রীয় পয়োনিষ্কাশন সুবিধা পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রামবাসী

চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যুয়ারেজ অথরিটি ভবন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যুয়ারেজ অথরিটি (সিডব্লিউএএসএ) গঠিত হওয়ার ৫৯ বছর পর কেন্দ্রীয় পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রামবাসী।

সিডব্লিউএএসএ ও দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি তাইয়ুং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের মধ্যে ২ হাজার ৬২৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের (এসটিপি) প্যাকেজ-১ বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন সিডব্লিউএএসএ'র কর্মকর্তারা।

গত বছরের ১১ জানুয়ারি সিডব্লিউএএসএ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ এবং তাইয়ুং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ঠিকাদারী প্রতিনিধি লিম-এর মধ্যে চুক্তিটি সই হয়। 

২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটিকে অনুমোদন দেয়।

সিডব্লিউএএসএর এসটিপির প্যাকেজ-১-এর প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা পরিকল্পনার বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি অনুমোদনপত্র পাঠিয়েছি এবং কার্যালয় থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর কাজ শুরু করার জন্য চুক্তিতে সই করেছি।'

আরিফুল বলেন, 'শহরের কোনো বিল্ডিংয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কের প্রয়োজন হবে না। কারণ ২০১৫ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পরে সমস্ত বাড়ির সেপটিক বর্জ্য সরাসরি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে ফেলা হবে।'

'এখন শহরের বড় বড় নালা ও খাল দিয়ে কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে', বলেন তিনি। 

আরিফুল আরও জানান, হালিশহর এলাকায় ১৬৫ একর জমিতে পয়োনিষ্কাশন শোধনাগার স্থাপন করা হবে এবং শহরটিকে ৬টি জোনে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে এসটিপি বাস্তবায়ন করা হবে। জোনে মোট ৬টি প্লান্ট স্থাপন করা হবে। প্যাকেজ-১-এর আওতায় ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি ওয়ার্ডের ২০ লাখ নগরবাসীকে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।

'তবে, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং সরু রাস্তার কারণে শহরের ৩০ শতাংশ এলাকায় এসটিপির পাইপলাইন স্থাপন করা যাচ্ছে না। ফলে ওই এলাকাগুলো পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার বাইরে থাকবে। সেক্ষেত্রে, ওই সব এলাকা থেকে যানবাহনে করে বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে' বলেন তিনি।

১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিডিব্লিউএএসএ পয়োনিষ্কাশন সমস্যা সমাধানের জন্য এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

১৮৬৩ সালে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল​কমিটি গঠনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম পৌরসভা যাত্রা শুরু করে শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করলেও পয়ঃনিষ্কাশনের আবর্জনা অপসারণের পদক্ষেপ নেয়নি। বর্তমানে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বাড়িঘর থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে মুনীর নগর ও জালালাবাদ ভাগাড়ে ফেলে। 

এ ছাড়া বন্দরনগরীর প্রায় ৬০ লাখ মানুষের সেপটিক ট্যাংকের বর্জ্য সরাসরি কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে গিয়ে পড়ছে।

ওয়াসার সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প (প্যাকেজ-১) ২০১৮ সালের শেষের দিকে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন করেছে। যথাযথ স্যানিটেশন সুবিধা নির্মাণের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসী।

আরিফুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, "শহরের কোনো বিল্ডিংয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কের প্রয়োজন হবে না কারণ 2025 সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পরে সমস্ত বাড়ির সেপটিক বর্জ্য সরাসরি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে ফেলা হবে।"

"এখন শহরের বড় বড় নালা ও খাল দিয়ে কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে -- পরিবেশ দূষিত হচ্ছে," তিনি বলেন।

শহরের হালিশহর এলাকায় 165 একর জমিতে পয়ঃনিষ্কাশন শোধনাগার স্থাপন করা হবে এবং শহরটিকে ছয়টি জোনে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে এসটিপি বাস্তবায়ন করা হবে। জোনে মোট ছয়টি প্লান্ট স্থাপন করা হবে। প্যাকেজ-১ এ ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি ওয়ার্ডের ২০ লাখ নগরবাসীকে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে বলে জানান আরিফুল।

"তবে, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং সরু রাস্তার কারণে, শহরের 30 শতাংশ এলাকায় এসটিপির পাইপলাইন স্থাপন করা যাচ্ছে না, ফলে এই এলাকাগুলি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার বাইরে থাকবে। সেক্ষেত্রে, সেইসব এলাকা থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। যানবাহন," তিনি বলেন।

1963 সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে CWASA পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা সমাধানের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

১৮৬৩ সালে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল ​​কমিটি গঠনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম পৌরসভা শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করলেও পয়ঃনিষ্কাশনের আবর্জনা অপসারণের পদক্ষেপ নেয়নি। বর্তমানে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বাড়িঘর থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে এবং মুনির নগর ও জালালাবাদ ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ডাম্প করে।

এছাড়া বন্দরনগরীর প্রায় ৬০ লাখ মানুষের সেপটিক ট্যাংকের বর্জ্য সরাসরি কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে গিয়ে পড়ছে।

ওয়াসার সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প (প্যাকেজ-১) ২০১৮ সালের শেষের দিকে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন করে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো যথাযথ স্যানিটেশন সুবিধা নির্মাণের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীদের জন্য একটি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

Comments

The Daily Star  | English

With Trump’s win, Bangladesh gets more investment queries from China

Chinese entrepreneurs are increasingly inquiring with Bangladeshi businesses over scope for factory relocations, joint ventures and fresh investments, apprehending that the new Trump administration might further hike tariffs on their exports to the US.

10h ago