যুক্তরাষ্ট্রের মানব পাচার বিষয়ক প্রতিবেদন

মানব পাচার বন্ধে প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ঘাটতি অনেক

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের ২০২২ সালের ট্রাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) প্রতিবেদনে বাংলাদেশ গত বছরের মতো এবারও টিয়ার-২ বা দ্বিতীয় শ্রেণিতে রয়েছে।

২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে, বাংলাদেশকে টিয়ার-২ বা দ্বিতীয় শ্রেণির পর্যবেক্ষণ শ্রেণিতে রাখা হয়েছিল। যা বর্তমান অবস্থার চেয়েও খারাপ। 

গতকাল মঙ্গলবার 'ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট' শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, করোনা মহামারিতে বাংলাদেশের মানব পাচার প্রতিরোধ সক্ষমতার ওপর প্রভাব পড়েছে। সেটা বিবেচনায় নিয়ে গতবারের তুলনায় মানব পাচার রোধে সরকারের সার্বিক প্রচেষ্টা বেড়েছে।

আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার পাচার রোধে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তবে এটি এখনো ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তাগুলো পুরোপুরি পূরণ করতে পারেনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও শাস্তি প্রদানে সরকারের প্রচেষ্টা বেড়েছে। এ ঘটনায় একজনের সংসদ সদস্য পদ বাতিল বহাল রয়েছে। মানব পাচারের বিচারে ২০২১ সালের আগস্টে সাতটি ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। 

এ ছাড়া জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শ্রম কনভেনশনের প্রটোকল অনুসমর্থন করেছে।

বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে টিভিপিএর ন্যূনতম মান পূরণ করতে পারেনি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় পাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়েছে। পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সেবায় ঘাটতি রয়েছে। রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিগুলোর অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর বাড়তি ফি নেওয়ার সুযোগ এখনো রয়েছে। অবৈধভাবে শ্রমিক পাঠানো প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে শ্রমিকেরা পাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছেন।

টিআইপিকে মোটা দাগে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে: টিয়ার-১, টিয়ার-২, টিয়ার-২ ওয়াচ লিস্ট এবং টিয়ার-৩। মানব পাচার মোকাবিলায় টিয়ার-১ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে, আর টিয়ার-৩ সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।

টিয়ার-৩ ক্যাটাগরিতে পড়া যেকোনো দেশই উন্নয়ন সহায়তায় নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়।

২০২২ টিআইপি প্রতিবেদন হলো ২২তম কিস্তি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৮৮টি দেশ নিয়ে এ প্রতিবেদন করা হয়েছে।

পাচার হলো কোনো ব্যক্তিকে নিজের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য জবরদস্তি, প্রতারণা এবং বানোয়াট তথ্য দিয়ে শোষণের জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ। এটি একটি জাতির মধ্যে বা এক জাতি থেকে অন্য জাতির মধ্যেও ঘটতে পারে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Concerns about the international crimes tribunals act amendment

Amended ICT law to allow trial of security personnel

The newly amended International Crimes (Tribunals) Act will allow for the prosecution of members of the army, navy, air force, police, Rapid Action Battalion, Border Guard Bangladesh and all intelligence agencies.

2h ago