বাংলাদেশের কাছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায় জাপান

ইতো নাওকি। ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে জাপান আশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

আজ মঙ্গলবার প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিসিএবি) এক ফোরামে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইতো নাওকি বলেন, 'আমি আশা করি এখন থেকে শুরু করে আগামী বছরের মধ্যে সরকার মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের উদ্যোগ হাতে নেবে, যেটি ২০১৮ সালের নির্বাচনের চেয়ে উন্নত হবে।'

তিনি বলেন, '২০১৮ সালের নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন চলাকালীন সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিষয়ে জাপান উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমি সরকারি কর্মকর্তাদের আরও উন্নতমানের নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে বলে যাচ্ছেন।'

'আমি এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা অব্যাহত রাখবো', যোগ করেন তিনি।

নাওকি আরও জানান, গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিৎ, যাতে তারা একটি মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে তাদের ভূমিকা পালন করতে পারে এবং সব ভোটার তাদের পছন্দের ভোটারদের ভোট দিতে পারেন।

জাপানের রাষ্ট্রদূত জানান, জাপান বাংলাদেশের কাছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায়। সম্প্রতি একটি জাপানি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিমান বাহিনীর জন্য রাডারসহ অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে আগ্রহ সম্পর্কে বোঝার জন্য বাংলাদেশে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে।

নাওকি জানান, বাংলাদেশ তাদের প্রতিরক্ষা খাতের ক্রয়ে বৈচিত্র্য বাড়াচ্ছে এবং জাপানও এ ধরনের সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। ইতোমধ্যে দেশটি ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন্স ও আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলোর কাছে এ ধরনের সরঞ্জাম বিক্রি করছে।

নাওকি আরও জানান, জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে। কারণ সরকার বিদেশি বিনিয়োগ-বান্ধব নীতিমালা তৈরি করেছে এবং দেশের অর্থনীতিতে আসছে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি।

রোহিঙ্গা সংকট এ অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার উৎস হওয়া উচিৎ নয় বলেও মত প্রকাশ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।

'এই সমস্যার সমাধানে আমাদের আরও সমন্বিতভাবে কাজ করা উচিৎ', যোগ করেন নাওকি।

তিনি মিয়ানমারে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান এবং আটক নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নয়নের দাবি জানান, যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English
Abu Sayed murder case

Abu Sayed murder: ICT probe agency finds evidence against 30 including cops

ICT investigators told The Daily Star that they submitted their probe report to the prosecution on June 24.

15m ago