৪০ লঞ্চে করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবেন দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষ
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রায় ৪০টি লঞ্চে অনুষ্ঠানস্থল বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা হবেন দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত এক লাখ মানুষ। ২৪ জুন রাতে রওনা হয়ে ২৫ জুন রাতে ফিরতি যাত্রা করবে এসব লঞ্চ।
বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা থেকে এসব লঞ্চ ছেড়ে যাবে।
বরিশাল নদী বন্দর থেকে ৯টি লঞ্চ যাবে। সেগুলোর মধ্যে ৪ তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল ৫টি লঞ্চও আছে।
আয়োজক কর্তৃপক্ষ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ উপলক্ষে এরই মধ্যে লঞ্চ ও টার্মিনাল গুলো প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলায় ৩ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। উদ্বোধনী দিন স্মরণীয় করে রাখতে শনিবার সকাল ৯টায় নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে র্যালি বের করা হবে। এ ছাড়া, নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় পর্দায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে ট্রাকে বাউল শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে লেজার শো ও আতশবাজি প্রদর্শন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। পদ্মা সেতুর আদলে সেতু তৈরি করা হবে। স্থানীয় পত্রিকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করা হবে।
বরিশালের অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি এহছান উল্লাহ বলেন, 'পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে যে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে মহানগরীর ৪ থানা ও জেলার ১০ থানায় পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ইতোমধ্যে নগরী ও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হাচ্ছে। পাশাপাশি নৌপথেও পুলিশের নজরদারি রয়েছে।'
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, 'পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য লঞ্চের পাশাপাশি সড়ক পথেও পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২৪ জুন রাতেই অধিকাংশ লঞ্চ বরিশাল থেকে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। লঞ্চগুলোতে থাকা-খাওয়া-টয়লেট-পানির সুব্যবস্থা থাকবে।'
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, প্রতিটি এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা যার নেতৃত্বে যাবেন, তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা সেই এলাকার নেতারা করবেন।
Comments