কাঁঠালবাড়ি সমাবেশস্থলে মানুষের ঢল
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটে সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করেছেন।
আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে বাস, লঞ্চ, নৌকা, ব্যাটারিচালিত ৩ চাকার গাড়ি এবং অন্যান্য পরিবহনে করে সর্বস্তরের মানুষ এবং আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন।
দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই বিপুল সংখ্যক মানুষ সমাবেশ এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে এবং অনুষ্ঠানস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলো থেকে আসা লোকজন রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক 'নৌকা' নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। সমাবেশ এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে, সমাবেশস্থলের ভেতরে ব্যানার বা প্ল্যাকার্ড বহন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
প্রখর সূর্যের তাপকে উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষকে স্লোগান দিয়ে, গান গেয়ে এবং বাদ্যযন্ত্রের সুরে নাচতে নাচতে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গেছে।
সমাবেশ স্থলে জড়ো হওয়া লোকজন হাততালি দিয়ে অন্যদের গ্রহণ করেছেন।
অনেকে তাদের পোশাক ও শরীরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এঁকেছেন। নারী ও পুরুষ উভয় রঙিন পোশাক পরে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
কাঠালবাড়ি ফেরিঘাট সংলগ্ন নদীতে রঙিন পালে সজ্জিত নৌকা চলতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থল এবং এর সংলগ্ন এলাকা লাইটিং এবং বড় বড় গ্যাস বেলুন দিয়ে সজ্জিত। মঞ্চ ও সংলগ্ন এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
সমাবেশের কার্যক্রম সম্প্রচারের জন্য সমাবেশের বিভিন্ন কোণে বড় পর্দা স্থাপন করা হয়েছে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সমাবেশস্থলের পাশাপাশি পুরো মাদারীপুরেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সমাবেশস্থলে পদ্মা সেতুর আদলে ১৫০ ফুট লম্বা ও ৪০ ফুট প্রশস্ত একটি বড় দর্শনীয় মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
মঞ্চের ঠিক সামনেই জলের উপর ভাসছে বিশালাকার নৌকা। এর পাশে ১১টি পিলারের ওপর ১০টি স্প্যান রেখে মঞ্চ তৈরি করা হয়। দেখে মনে হচ্ছে, সেতু দিয়ে একটা বড় নৌকা চলাচল করছে।
Comments